নিজঘরে স্ত্রীকে পুঁতে রেখেছিলেন ঘাতক স্বামী!

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নিজগৃহে স্ত্রীকে পুঁতে রেখেছিলেন ঘাতক স্বামী। এক মাস দুই দিন পর উদ্ধার সেই গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে এমন মাটিচাপা মরদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানে।

একমাস আগে হঠাৎ করে বাগান থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সুচিত্রা শব্দকর (৪০)। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি পাত্রখোলা চা বাগান বাজারে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। এ অবস্থায় সুচিত্রা শব্দকরের মেয়ে সীমা শব্দকর মা কোথায় ও কিভাবে নিখোঁজ হলো এ নিয়ে বাবা সুবাসকে জেরা শুরু করে। একপর্যায়ে সুবাস স্বীকার করেন, পারিবারিক কলহে রাগের মাথায় কুড়াল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলের সুচিত্রার মৃত্যু হয়েছিল। তখন সে সবার অজান্তে ঘরের আঙিনায় স্ত্রীর মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে।

ফাঁস হয়ে যায় ঘটনাটি। এ স্বীকারোক্তির পর সুবাস পালাতে চাইলে এলাকাবাসী তাকে ধরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুধবার ছুটে যায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। দুপুরে নিজ ঘরের আঙিনা থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় সুচিত্রা শব্দকরের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয়েছে সুচিত্রার স্বামী সুবাস বাউরীকে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত জুনের ২৬ তারিখে স্ত্রী সুচিত্রাকে খুন করে নিজবাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখেন ঘাতক সুবাস। গ্রেফতারের পরে তিনি স্বীকার করে জানিয়েছেন তার স্ত্রীর সঙ্গে বসে মদ পান করার একপর্যায়ে রাগের বশে কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এসময় কোনো উপায় না দেখে মাটিতে পুঁতে ফেলে।

এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে বলে জানান কমলগঞ্জ ওসি।

এসএইচ-২৬/২৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)