স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ১১ ঘণ্টা টয়লেটে আটকা ছিল শারমিন

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার হোসেনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের টয়লেটে বাকপ্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থী ১১ ঘণ্টা আটকে পড়ার ঘটনায় বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমীর হোসেনকে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে স্কুলের আয়া শাহানারা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত ও গার্ড কবির হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি।

শাহরাস্তি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্যাহ চৌধুরী জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের টয়লেটে ছাত্রী থাকাবস্থায় তালাবন্ধ করে চলে যাওয়া, স্থানীয় লোকজন তালা ভেঙে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের সময় তিনি ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত থাকা, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করা এবং বাকপ্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার পর তার প্রতি বিশেষ যত্নের ব্যবস্থা না করায় কারণ দর্শানোর নোটিশটি দেওয়া হয়েছে।

এই কর্মকতা আরও জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায় এড়াতে পারেন না।

এর আগে গত শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার শ্রেণির কার্যক্রম শেষে বিদ্যালয় ত্যাগ করে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা। কিন্তু সবার অলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের টয়লেটে আটকা পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী বাকপ্রতিবন্ধী শারমিন আক্তার। এ সময় তাকে ভেতরে রেখে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শাহান আরা টয়লেটের দরজায় তালা মেরে চলে যান। এরপর দুপুর থেকে রাত প্রায় ১০টা ওই অবস্থাতেই ছিল শারমিন। পরে রাত ১০টার দিকে এক পথচারী বিদ্যালয়ের পাশের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তার মুঠোফোনে কল আসে এবং সঙ্গে ফ্লাশলাইট জ্বলে উঠে। আর তখনই টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে কারো হাতের ইশারা তার নজরে পড়ে। মুহূর্তে ছুটে যান সেখানে। তারপর আরও লোকজন ডেকে এনে তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় আটকে পড়া শারমিন আক্তারকে।

এসএইচ-১৭/১৯/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)