কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের রেলস্টেশন

ট্রেনে করে যাওয়া যাবে কক্সবাজার। এমন স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে। দ্রুত এগিয়ে চলছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের নির্মাণকাজ। পর্যটকদের সেবা দিতে সাগরপাড়ে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের রেলস্টেশন।

বুধবার আইকনিক স্টেশন পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী জানালেন, নানা জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলেও আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ করা হবে কাজ।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত শহর কক্সবাজার। সড়ক ও বিমানপথই এখানে আসার মাধ্যম ছিল। সেই সাগরপাড়েই এবার হচ্ছে ট্রেনের দৃষ্টিনন্দন স্টেশন। কক্সবাজারের অংশে এগিয়ে যাচ্ছে রেললাইন নির্মাণকাজ।

ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ায় একটি বড়সড় ঝিনুক তৈরি করছে রেলওয়ে। ঝিনুকটির দুই অংশের মাঝে ফাঁকা থাকবে ছয়তলা উচ্চতার সমান। এই ঝিনুকটির পেটেই হবে মূল স্টেশন, যেখানে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনের সব সুবিধা।

দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, যাত্রী নামার পরে এখানে সব ধরনের সুবিধা থাকবে। হোটেল, ফুড কোর্ট ও অন্যান্য শপিং মল সব কিছুই থাকবে। এই স্টেশনের সব কিছুই অটোমেটেড সিস্টেমে হবে।

স্টেশনটি দ্বিতীয়তলার ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করে যাত্রীরা উঠবেন ট্রেনে। ৬ তলা স্টেশন ভবনে যাত্রীদের ওয়েটিং রুম, শিশু যত্ন কেন্দ্র, খেলার জায়গা, রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, মিলনায়তনসহ আধুনিক সব সুবিধা থাকবে এখানে। করোনা ও বর্ষা মৌসুমে কাজে কিছু বাধা সৃষ্টি করলেও এখন পুরোদমে কাজ চলছে বলে জানালেন প্রকল্প কর্মকর্তা।

কক্সবাজার আইনকনিক রেলস্টেশনের মেকানিক্যাল ম্যানেজার মো. আকরামুজ্জামান বলেন, যেহেতু আমরা বর্ষা মৌসুমে কাজ করতে পারি নাই; এ জন্য আমরা অতিরিক্ত জনবল জোগাড় করেছি। যাতে নির্ধারিত সময়ে কাজটা শেষ করতে পারি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মো. আব্দুল জব্বার মিলন বলেন, এখন আমার কনস্ট্রাশনের কাজ চলছে এখানে। প্লাটফর্মের কাজটাও আমরা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। তাই আমরা আশাবাদী ২০২২ সালের মধ্যে আমরা এই কাজ শেষ করতে পারব।

ইতোমধ্যে দ্বিতীয়তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ, চলছে তৃতীয়তলার কাজ। বুধবার দুপুরে এই আইকনিক স্টেশনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী। এই সময় তিনি জানান, নানা জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হলেও আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা হবে।

রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এখানে যে ট্রেনগুলো থাকবে সেগুলো উন্নত ও আরামদায়ক হবে। এটা হবে ট্যুরিস্টদের জন্য উপযোগী। সেই ট্রেনগুলোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত থাকছে ৯টি রেলস্টেশন- যা হবে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার।

এসএইচ-২৩/২২/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)