প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছেলেকে পানিতে ডুবিয়ে মারলো বাবা

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ছেলে মেহেদি মাতুব্বরকে (১৭) হাত-পা বেঁধে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশে জমিতে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছেন বাবা। বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাবা আরব আলী মাতুব্বর। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বুধবার আরব আলী মাতুব্বরকে (৪০) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি গোপালগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে, জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পদ্মাকান্দা গ্রামের জলাবদ্ধ জমি থেকে হাত-পা বাধা অর্ধ গলিত অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ১১ মাস পর তার পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয় সিআইডি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশটি মেহেদী মাতুব্বরের বলে নিশ্চিত হন তারা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সিআইডি এসআই মাহাতাব উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের ছেলে মেহেদী মাতুব্বরকে হাত-পা বেঁধে ওই প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশে জলাবদ্ধ জমিতে ডুবিয়ে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেন আরব আলী মাতুব্বর। পরে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে।

দীর্ঘ তদন্তের পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরব আলী মাতুব্বরের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর উপজেলার পদ্মকান্দা গ্রামের জলাবদ্ধ জমি থেকে মেহেদী মাতুব্বরের হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে সিন্ধিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে সিআইডি মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয়।

এসএইচ-১৭/২৫/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)