সৎ ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর প্রেম, স্বামীর আত্মহত্যা

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় সৎ ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক হাতেনাতে ধরা পড়ায় বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী বেল্লাল সরদার (২৭)। বেল্লাল সরদার উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জলিল সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত বেল্লালের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ও ভাই (সোনিয়া বেগমের মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে) রাজুকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক বেল্লালের সঙ্গে প্রায় এক যুগ আগে ভান্ডারিয়া পৌর শহরের বাসিন্দা মো. জামালের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয়। সে ঘরে মো. ঈসা নামের ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

বেল্লালের চাচি রানী বেগম জানান, মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে মো. রাজু সৎ বোন সোনিয়ার বাড়িতে বেড়াতে এসে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনা জানাজানি হলে বেল্লাল ভান্ডারিয়া পৌর শহরের ভুবনেশ্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে চলে যায় এবং প্রায় দেড় বছর বসবাস করে আর্থিক সংকটে পড়ে পুনরায় পৈতৃক বাড়িতে ফিরে আসে।

বেল্লাল এলাকাবাসীর মুখে শোনা ছাড়াও নিজে তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ নিয়ে বেল্লাল ও তার স্ত্রী সোনিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। গত ৫ অক্টোবর দুপুরে বেল্লাল ক্ষোভে বিষ পান করে। পরে তাকে জ্বর, পাতলা পায়খানার রোগী বলে অচেতন অবস্থায় ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে বেল্লালকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে বৃহস্পতিবার  বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বেল্লাল। এ ঘটনায় নিহত বেল্লালের বাবা মো. জলিল সরদার বাদী হয়ে পুত্রবধূ সোনিয়া, তার ভাই রাজু এবং সোনিয়ার বাবা জামালকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দায়ের করেন।

ভান্ডারিয়া থানার এসআই মো. বজলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ মামলার আসামি বেল্লালের স্ত্রী সোনিয়া বেগম এবং তার সৎ ভাই রাজুকে গ্রেফতার করে শুক্রবার জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

এসএইচ-২২/০৮/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)