খালি গায়ে টিকা দিলেন নারীদের, কেন্দ্রেই করলেন ধূমপান!

পরনে কালো প্যান্ট। শরীরে নেই কোনো জামা। এভাবে খালি গায়ে নারীদের টিকা দিতে দেখা গেছে এক মধ্য বয়স্ক ব্যক্তিকে। এরই মাঝে আবার একটু চাপ কমলেই টিকাকেন্দ্রের চেয়ারে বসেই ফুঁকলেন সিগারেট! রোববার এমনই চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

নিয়মবহির্ভূত এমন কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শহিদুল ইসলাম।

জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষের পৃথক কোনো বুথ নেই। সে কারণে শহিদুল ইসলাম একজন নার্সকে সাথে নিয়ে কমপ্লেক্স কেন্দ্রে উপস্থিত নারীদের টিকা দিতে থাকেন। এঘটনায় টিকা নিতে আসা অনেক নারী বিব্রতবোধ করেন। টিকা নেওয়া শেষে অনেক নারী বলেন, সরকারি হাসপাতালে এরকম ভাবে খালি গায়ে কাউকে টিকা দিতে দেখেননি তারা।

আবার টিকা কেন্দ্রে ব্যস্ততার ফাঁকে তিনি চেয়ারে বসেই ধূমপান শুরু করেন। রবিবার দুপুরে এমন চিত্র দেখে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে প্রায় দুপুর ১টা পর্যন্ত খালি শরীরে টিকা প্রদান করেন তিনি। এর মধ্যে একবার ধূমপান করতে দেখা গেছে।

হাসপাতালে আসা রিওন হোসেন নামে একজন জানান, একজন সরকারি কর্মচারী কোনোভাবেই খালি শরীরে এভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তারপরও নারীদের করোনার টিকা প্রদান করেছেন। তিনি টিকা কেন্দ্রে বসেই ধূমপান করছেন। এ ঘটনায় তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।

টিকা নিতে স্বপ্না খাতুন নামের এক নারী বলেন, খালি গায়ে এক ব্যক্তি টিকা দিয়েছেন যা খুবই অস্বস্তিকর একটা বিষয়। একদম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) শহিদুল ইসলাম জানান, তীব্র গরমে সার্ট ঘেমে ভিজে যায়। তাই সার্ট খুলে রৌদ্রে শুকাতে দিয়েছিলাম। কেন্দ্রে মানুষের চাপ ছিল। এজন্য খালি শরীরে টিকা প্রদান করেছি। আর যখন চাপ কম ছিল তখন একটু দূরে বসেই ধূমপান করেছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুণ কুমার জানান, খালি গায়ে দায়িত্ব পালন করার কোনো নিয়ম নেই। তাছাড়া পাবলিক স্থানে ধূমপান নিষেধ। তিনি যদি এরকম কাজ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএইচ-০৯/১১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)