প্রেমিকের থাপ্পড় খেয়ে নার্সের ‘আত্মহত্যা’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলি এলাকার দি আল ফালাহ হাসপাতাল থেকে সোনিয়া আক্তার (২০) নামের এক সহকারী নার্সের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সোনিয়া আক্তার জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের আজিজুর রহমানের মেয়ে। তিনি শহরের একটি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই হাসপাতালে সহকারী নার্সের কাজ করতেন।

জানা গেছে, সোনিয়া আক্তার প্রায় তিন বছর আগে আল ফালাহ হাসপাতালে সহকারী নার্সের পদে যোগদান করেন। এর পাশেই রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। স্কুলটির স্টাফ মোহাম্মদ শীতলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শীতলের বাড়ি জেলার কসবা উপজেলার নেমতাবাদে। গত দুই বছর যাবত তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।

সম্প্রতি শীতল জানতে পারেন, সোনিয়ার আরও একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহ থেকে দুজনের মাঝে মনোমালিন্য চলছিল। রোববার সন্ধ্যায় তারা জেলা শহরের দাতিয়ারার ফারুকী পার্কে দেখা করেন। এ সময় সোনিয়াকে আরও একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করেন শীতল। যার কারণে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোনিয়াকে একটি থাপ্পড় দেন শীতল। এরপর সোনিয়া তার হাসপাতালে গিয়ে চালে দেওয়ার কেড়ির ওষুধ খেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন। এই ঘটনায় প্রেমিক শীতলকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে সোনিয়ার মামা মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নির মৃত্যুর খবর মধ্য রাতে পেয়েছি। এর আগে রাত ৯টার দিকে সে তার বোনের সঙ্গে কথা বলেছে। আমার ভাগ্নি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় এক তরুণকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসএইচ-২৩/১১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)