কুমিল্লার ঘটনায় সিসিটিভিতে অপরাধী শনাক্ত, ভিডিও প্রকাশ

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে ধর্ম অবমাননায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই বেরিয়ে আসবে মূল ঘটনা।

রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা হয়। সে সময়ই সরিয়ে নেওয়া হয় হনুমানের হাতে থাকা গদা। গদা নিয়ে চলে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুজে সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

ফুটেজে দেখা গেছে, রাত দুইটা ১০ মিনিট। দারোগাবাড়ির মসজিদ থেকে কিছু একটা হাতে নিয়ে বের হচ্ছেন এক যুবক। তার গতিবিধি সন্দেহজনক।

এর এক ঘণ্টা ২ মিনিট পর আরেকটা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কুমিল্লার নানুয়াদীঘি অস্থায়ী মণ্ডপের উত্তর-পূর্বদিকের রাস্তায় ঘোরাফেরা করছেন ওই ব্যক্তি। তার কাঁধে ছিল হনুমানের হাতে থাকা গদা। পুলিশ, পূজামণ্ডপ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক ঘটনাটি ঘটে।

ফুটেজে থাকা ওই ব্যক্তির পরিচয় এরই মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে ধরতে চলছে সর্বোচ্চ চেষ্টা। পুলিশ বলছে, তাকে গ্রেপ্তার করা গেলেই বেরিয়ে আসবে সাম্প্রদায়িক উসকানির মূল ঘটনা। তবে সরাসরি জড়িত আরও দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এলাকাবাসী বলছে, শুধু তিনজন নয়, এ ঘটনার সঙ্গে প্রভাবশালী কেউ জড়িত। ঘটনার পেছন থেকে কেউ কাজটি করিয়ে থাকতে পারেন। কাজটা হয়তো এমন কাউকে দিয়ে করানো হয়েছে, যিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাকে হয়তো টাকা দিয়ে করানো হয়েছে। কাজটি হয়তো কোনো ক্ষমতাবান গোষ্ঠী বা ব্যক্তি করিয়েছেন।

অস্থায়ী পূজা মণ্ডপটির পশ্চিমপাশে রয়েছে একটি মাজার। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, মাজার থেকেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। তবে মাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাজার থেকে এমন ঘটার কোনো সুযোগ নেই।

তারা বলছেন, পূজামণ্ডপে যে ধরনের কোরআন শরীফ দেখা গেছে, সে ধরনের কোনো কোরআন শরীফ আমাদের মসজিদ বা মাজারে নেই। পাশাপাশি আমাদের মসজিদ এবং মাজারের সব কিছু সিসিটিভি নিয়ন্ত্রিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটি পরীক্ষা করছে। তারা যদি এ ধরনের কোনো তথ্য পান, তবে তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।

কুমিল্লার এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ৯টি।

এসএইচ-৩১/২০/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)