সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবার হাতের কবজি কাটলেন ছেলে

সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বাবার হাতের কবজি কেটে ফেলেছে বখাটে ছেলে হানিফ মিয়া। মঙ্গলবার মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরে গুরুতর জখম অবস্থায় বাবা শহীদুল হক সাধুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ছেলে পলাতক রয়েছেন।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যান শহীদুলের ছোট ছেলে হানিফ মিয়া। বাবা শহীদুল হক থাকেন বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সাথে। সংসার আলাদা হয়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝেই বাবার সম্পত্তি থেকে কিছু জমি লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন ছোট ছেলে হানিফ। কিন্তু আচার-আচরণ ভালো না হওয়ার কারণে বাবা ছোট ছেলেকে কোন সম্পত্তি লিখে দেননি। এ কারণেই বাবার উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন ছোট ছেলে।

এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝে মাঝে বাকবিতণ্ডা হতো। এক পর্যায়ে সকালে সম্পত্তি নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে হঠাৎ ছেলে হানিফ গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে বাবা শহিদুলের হাতের কবজি কেটে পড়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর জখম অবস্থায় বাবা শহীদুল হক সাধুকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার পর থেকে বখাটে ছেলে হানিফ মিয়া পলাতক রয়েছেন।

শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার বাবা দুপুরে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ভাই হানিফ মিয়া গরু জবাই করা চুরি নিয়ে সেখানে গিয়ে হঠাৎ বাবাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। হানিফের হাতে থাকা ছুরির কোপে বাবার হাতের কবজি কেটে সেখানে পড়ে যায়। এ সময় দোকানের থাকা অন্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বাবাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। বাবার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শফিউর রহমান বলেন, ধারালো অন্ত্রের আঘাতে হাতের কবজি কেটে পড়েছে গেছে। তাছাড়া মাথা থেকে ঘাড় বরাবর ধারালো ছুটির আঘাত রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

মাগুরা সদর থানার ওসি মঞ্জুর আলম বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বখাটে ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে।

এসএইচ-২৭/২৩/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)