ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম, বন্দরে সতর্কতা জারি

প্রস্তুত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যা ও চিকিৎসক। আফ্রিকাসহ ৭টি দেশ থেকে এলে বাধ্যতামূলক থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে।

অমিক্রণ আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। পাশের দেশ ভারতে অতি সংক্রমণশীল আফ্রিকান এ ধরন পাওয়ায় নড়েচড়ে বসে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতিমধ্যে আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রামে আসা ৫ জনকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। এ অবস্থায় ভয়াবহ এ ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশমুখে সতর্ক বার্তা দিয়ে রেখেছে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ।

চট্টগ্রাম অঞ্চল করোনাবিষয়ক সমন্বয় ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ভয় আর আতঙ্কের কারণ নেই। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অতীতে আইসিইউ নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

এদিকে শনাক্তের হার তলানিতে ঠেকায় গুটিয়ে আনা হয়েছিল ওয়ার্ডের কার্যক্রম। তবে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ওমিক্রন। প্রতিরোধে চট্টগ্রামে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে শুরু হয়েছে নার্স ও চিকিৎসকদের অগ্রিম প্রস্তুতি। চলছে শয্যা ও যন্ত্রপাতি বসানোর কাজও।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, নার্স, চিকিৎসক ও শয্যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। সবাইকে প্রশিক্ষণও দিয়ে রেখেছি নতুন করে ওমিক্রন, মোকাবিলায়।

১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহু আবাসিক হোটেলও। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, পরিস্থিতি যদি আবার খারাপ হয়, অথবা কেন্দ্রীয়ভাবে যদি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, যতজনই বিদেশি যাত্রী আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। তার জন্য আমরা আগের মতো কিছু আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা করব। তাতে এসব বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে।

গত ২৪ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এখন পর্যন্ত ৪০টি দেশে ছড়িয়েছে এ বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও কোভিড ব্যবস্থাপনা কমিটির ফোকাল পার্সন ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। রোগী যতই আসুক, আমরা তাদের সেবা দিতে পারব। যদিও আমার কোভিড ওয়ার্ড আগের চেয়ে ছোট করে ফেলা হয়েছে, তবে প্রয়োজন হলে তা আরও বাড়ানো যাবে, তাতে কোনো সমস্যা নেই।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সব প্রবেশমুখেই সতর্কবার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও এয়ারপোর্টেও নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিছু দেশের নাম উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে, এসব দেশ থেকে যারাই আসবে, তাদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসএইচ-০৩/০৫/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)