স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে কিশোরীর অবস্থান

পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছে এক কিশোরী। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন তাদের বসতঘরে তালা দিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছেন।

অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম মো. রবিউল ইসলাম খান (২৬)। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকাছিমা গ্রামে। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি একই গ্রামে। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম খান ওই গ্রামের মো. ছালেক খানের ছেলে।

রোববার সকালে দেখা গেছে, ওই কিশোরী তার স্বামী রবিউলের ঘরের দরজার সামনে অবস্থান করছে। সে জানায়, আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই। গত তিন দিন ধরে স্বামী রবিউল ও তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রবিউলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ওই কিশোরীকে তিনি বিয়ে করেননি। বিয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে সে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা জানান, তার এক মাত্র মেয়েকে বিয়ে করতে রবিউল ও তার পরিবার তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়। পরে গত বছরের ৬ আগস্ট পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কিন্তু মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে তারা স্থানীয় হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন।

বিয়ের পর থেকে জামাতা রবিউল যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে মারধরসহ চাপ দেয়। পরে তার চাহিদা মতো এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। ঈদের আগে আবারও ব্যবসার কথা বলে টাকা আনতে বললে আমার মেয়ে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তাকে মারধর করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঘরে তালা দিয়ে পরিবারের সবাই অন্য জায়গায় চলে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল সাদীদ জানান, ওই কিশোরী ও তার মা আমার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা আমার কাছে একটি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি তাকে ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।

এসএইচ-০৬/০৮/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)