খালাস পেয়েও কারাগারে ৭ বছর

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়া আবুল কাশেম সাত বছর কনডেম সেলে থাকার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।

রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

গত বুধবার ‘বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি নিউজ পোর্টাল। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে।

কিন্তু আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়নি ৭ বছর ৩ মাস ১১ দিনেও। একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে এলে আবুল কাশেমকে শ্যেন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। সেদিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম। আবুল কাশেম, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ২১ (৩১.০৩.২০০২) ও দায়রা নম্বর ৩০৮/২০০৪। ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আবুল কাশেম রায়ের সময় পলাতক ছিলেন। হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স নম্বর ৫৪/২০০৭। ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিমের বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেন।

এসএইচ-০৯/০৭/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)