কবর থেকে মরদেহ তুলে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল কিশোর

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক শিশুর মরদেহ দাফনের পর রাতেই কবর থেকে উধাও হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তিন বছরের সেই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায় এক কিশোর আত্মীয়ের ঘরে। সে স্বীকার করে, কবর খুঁড়ে মরদেহ তুলে এনে জামা–কাপড় পরিয়ে একসঙ্গে রাতে ঘুমিয়েছে সে। স্বজনেরা বলছেন, এই কিশোর মানসিক ভারসাম্যহীন।

উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বড় কাচনা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে পশ্চিম বড় কাচনা এলাকার শফিক মাতবরের ছেলে নাইম (৩) পানিতে ডুবে মারা যায়। সন্ধ্যায় জানাজা নামাজ শেষে পশ্চিম বড় কাচনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে পারিবারিক গোরস্থানে শিশুটিকে দাফন করা হয়। কিন্তু সকালে দেখা যায়, কবরের মাটি সরানো। শিশুর মরদেহও নেই!

অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটির এক কিশোর আত্মীয়ের খালি ঘরে পাওয়া যায় মরদেহ। স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে ১৫ বছর বয়সী ছেলেটি শিশুটির মরদেহ কবর থেকে তুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। পরে মরদেহ আবার দাফন করা হয়।

শিশুটির দাদা সাইদুল মাতবর বলেন, শিশুটি কবরে একা একা কীভাবে থাকবে- সেই চিন্তা করে ওই কিশোর তাকে কবর থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার ভাষ্য, দাফনের সময় সবাই নাইমকে দেখতে পেলেও সে দেখতে পারেনি বলে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

এআর-১২/৩০/১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)