নোয়াখালীর চাটখিলে ফুটবলে লাথি মারায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওসমান গণি (১৫) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
গত রোববার দুপুরে বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে ওসমান গণিকে পেটানো হয়। আজ ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ওসমানের চাচাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার দুপুরে আমাদের প্রতিবেশী মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনে ফুটবল খেলছিল। ওসমান তার পাশেই টং ঘরে বসেছিল। এসময় ওসমানের পায়ের কাছে ফুটবল এলে সে তাতে লাথি মারে। ফুটবলটি পাশের একটি বাড়ির ছাদে গিয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মো. মন্টুকে (৩২) গিয়ে অভিযোগ জানায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মন্টু একটি কাঠের টুকরা নিয়ে এসে ওসমানকে বেধড়ক পেটায়। সেখান থেকে ওসমানকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, আমরা সবাই ঢাকা থাকি। ওসমানের পরিবারও ঢাকা থাকত। কিছুদিন আগে তার বাবা গ্রামে একটি বাড়ি করে। হামলাকারী মন্টু বাড়ি তৈরির সময় কাজ চেয়েছিলেন। কাজ না পেয়ে সে ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মন্টু (৩২) নামের এক যুবক এক কিশোরের মাথায় আঘাত করে আহত করেছিল। তার মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। তার মা উম্মে হানি রুমা মন্টুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসএইচ-০৭/১১/২৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)