ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে লিটন হোসেন নামে এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে তার এক হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ও অন্যহাতের ৮০ ভাগ কেটে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে পাগলা কানাই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত লিটন সদর উপজেলার বাড়ীবাথান গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। তিনি জেলা যুবদলের সদস্য ও পাগলাকানাই ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানায়, যুবদল নেতা লিটন হোসেন সন্ধ্যার পর পাগলাকানাই মোড় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা যুবদল। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হাতের ৮০ ভাগ কেটে গেছে ও অন্য হাতের কবজি বিছিন্ন হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রে আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, ‘বিএনপির একদফা আন্দোলন জোরালো হয়েছে। পাগলা কানাই ইউনিয়নে লিটন আন্দোলন জোরদার করছে। এর আগেও তাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।’
এসএইচ-০৫/১৩/২৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)