গাজীপুরে ২ বাসে আগুন

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় দুইটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার সকালে কোনাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ষংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কোনাবাড়ী এলাকায় দুইটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাস আজমেরি পরিবহনের। কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। বাস দুটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এমরান আহম্মেদ বলেন, অবরোধকারী, পোশাকশ্রমিক নাকি অন্য কেউ এই আগুন দিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, সকালে কোনাবাড়ীর কাশিমপুর এলাকায় মালিকপক্ষ অনেক গার্মেন্টসের শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দিচ্ছে। কেন ছুটি দিচ্ছে, তা আমার জানা নেই। এটা তাদের অফিসিয়াল কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাকশ্রমিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কে বা কারা আগুন দিচ্ছে, তা আমরা জানি না। আজ সকালে কাজ করতে এসেছি। গেটের দারোয়ান আমাকে বাসায় চলে যেতে বলেছে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গতকাল সমস্যা হইছে। আজকেও সমস্যা হতে পারে, তাই আজ গার্মেন্টস ছুটি”। আমি এখন বাসায় চলে যাচ্ছি।’

এর আগে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে সোমবার গাজীপুরের কাশিমপুর, জরুন ও কোনাবাড়ি এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। সেই সময় তারা টায়ারসহ বিভিন্ন ব্যানার ও কাঠে অগ্নিসংযোগ করে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে নারী শ্রমিকসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।

সোমবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে মহানগরীর কাশিমপুর, হাতিমারা, জিতার মোড়, জরুন ও কোনাবাড়ি এলাকার অধিকাংশ মিল-কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।

জিএমপির কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুরের খাবারের বিরতির পর কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানায় দুপুরের পর থেকে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

এসএইচ-০৩/০৭/২৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার)