সাকিবের মনোনয় ফরম কেনা নিয়ে যা বলছেন আ. লীগ নেতারা

তফসিল ঘোষণার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এরই মধ্যে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্বাচনে অংশগ্রহণে তার আগ্রহের বিষয়টি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। যা আজ মনোনয়ন ফরম নেয়ার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে।

শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিবের পক্ষে ঢাকা-১০ এবং মাগুরা ১ ও ২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার স্বজনরা। এ খবর নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

সাকিবের মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়ে তার ছোট বেলার ক্রিকেট গুরু সাদ্দাম হোসেন গোর্কির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে মাগুরা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল, যে কেউ মনোনয়ন ফরম কিনতে পারেন। তবে মাগুরা-১ আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর মানুষের কল্যানে কাজ করে নিজেকে গণমানুষের নেতায় পরিণত করেছেন। এখানে সাইফুজ্জামান শিখরের বিকল্প কোনও প্রার্থী নেই। গোটা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সাইজ্জামান শিখরের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে মাগুরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সাকিব বা তার পরিবারের কেও আওয়ামী লীগের রজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। আওয়ামী লীগের সমর্থক নন। ব্যক্তিগতভাবে সাকিবের আওয়ামী লীগের প্রতি নুন্যতম কোনও অবদান নেই। বরং তারা আওয়ামী রিরোধী পরিবার হিসেবে পরিচিত।’ আব্দুল মান্নান তার এই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মোহাম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, যে কেউ মনোনয়ন ফরম কিনতে পারেন। তবে সাকিবের কোনও মাঠ কর্মী নেই। সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সাকিব ভোটের মাঠে হারিয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুন্ডু বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। যে কারণে এ ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজী হননি। এ ব্যাপারে সাকিব আল হাসানের বাবার মাসরুর রেজার মন্তব্য জানার জন্য মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

এসএইচ-১৩/১৮/২৩ (আঞ্চলিক ডেস্ক)