ঘুমানোর আগে মহানবী (সা.) যা করতেন

ঘুমানোর আগে

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কাজ তার আদর্শ এবং রেখে যাওয়া পথ-পদ্ধতি সম্পর্কে একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই জ্ঞ্যান থাকাটা খুবই জরুরি।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। আবার অনেকেই আছেন যারা রাতের খাবার খাওয়ার পর মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশে বিভিন্ন আমল করে থাকেন। আবার অনেকেই হাঁটাহাঁটি করেন।

ঘুম বান্দার প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত এক বিরাট নেয়ামত। সেই নেয়ামতের শোকর তখনই হবে, যখন আমরা আল্লাহর নেয়ামতকে রাসুলের (সা.) এর সুন্নাত মোতাবেক পালন করব। এতে একদিকে আমাদের আমলের সাওয়াব লাভ হবে, নেয়মাতের শোকার আদায় হবে, একইসঙ্গে আল্লাহ রাসুলের (সা.) এর নির্দেশনায় যে কল্যাণ রয়েছে, তা থেকেও বঞ্চিত হব না।

হাদিসে বর্ণিত ঘুমানোর আগে যেসব সুন্নাত রয়েছে। তা হলো:-

১. মুঘাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া।

২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করে ঘুমানো।

৩. ঘুমের সময় ঘুমানোর দোয়া পাঠ করা। হাদিসে বর্ণিত ঘুমের দোয়া হলো, ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ আপনার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি আবার আপনার নামেই জীবিত হই। কেননা, ঘুমকে বলা হয় মৃত্যুর ভাই। মানুষ যখন ঘুমে যায়, তখন তার রুহ আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার জাগরণের পূর্বে রুহ আবার তার দেহে ফিরিয়ে দেয়া হয়। (বুখারি)

৪. অবশ্যই ডান কাত হয়ে শোয়া। অর্থাৎ ঘুমের শুরুটা যেন ডান কাতে হয়। এরপর ঘুমের ঘোরে অন্য যে কোনোভাবে ঘুমালেও সুন্নাত পরিপন্থী হবে না।

৫. অপবিত্র অবস্থায় ঘুমাতে হলে শরীরের বাহ্যিক অপবিত্রতা ধুয়ে অযু করে ঘুমানো।

৬. কোনো ভাবেই নগ্ন হয়ে না ঘুমানো। (বুখারি)

৭. একেবারে একান্ত প্রয়োজন না হলে উপুড় হয়ে না ঘুমানো সুন্নাত।

৮. ঘুমাতে যাওয়ার সময় আগুন জ্বালানো বাতি নিভিয়ে এরপর ঘুমানো। (তিরমিযি)

৯. ঘুম ঘোরে দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করে শোয়া।

১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে বাম দিকে তিনবার থুথু ছিটানো এবং দোয়া করা, ‘হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে পানাহ চাই’। এভাবে ৩ বার বলা। তবে দুঃস্বপ্ন কাউকে না বলা সুন্নাত। (মুসলিম)

আরএম-১৩/১৫/০২ (ধর্ম ডেস্ক)