আল-কুরআনের ১০০ বাক্য, যা মহান মানুষ গড়তে যথেষ্ট

আল-কুরআনের

মানবজাতির সব সমস্যার সমাধান মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের এমন কোনও সমস্যা নেই, যার সমাধানের ইঙ্গিত এতে নেই। তবে আজ আমরা জানবো আল-কুরআনের ১০০ বাক্য, যা কাউকে মহান মানুষ হিসেবে গড়তে যথেষ্ট। বাক্যগুলো প্রচার করে সমাজটাকে সুন্দর করতে চাইলে বাক্যগুলো লিখে কাগজ পারেন ঘর বা পাঠশালার দেয়ালেও। কিংবা এই লেখাটাই শেয়ার করতে পারেন ফেসবুকের টাইমলাইনে।

১. রুক্ষভাষী হয়ো না। (৩:১৫৯)

২. ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করো। (৩:১৩৪)

৩. অন্যদের কাছে ভালো হও। (৪:৩৬)

৪. অহংকারী হয়ো না। (৭:১৩)

৫. অন্যরা ভুল করলে ক্ষমা করে দিও। (৭:১৯৯)

৬. মানুষের সাথে শান্তভাবে কথা বলো। (২০:৪৪)

৭. কণ্ঠস্বর নিচু রাখো। (৩১:১৯)

৮. কাউকে নিয়ে উপহাস করবে না। (৪৯:১১)

৯. মা-বাবার প্রতি কর্তব্যপরায়ণ হও। (১৭:২৩)

১০. মা-বাবার সাথে কথা বলার সময় কখনও অপমানসূচক বাক্য ব্যবহার করবে না। (১৭:২৩)

১১. অনুমতি ছাড়া মা-বাবার কক্ষে প্রবেশ করবে না। (২৪:৫৮)

১২. পাওনা হিসাব লিখে রাখো। (২: ২৮২)

১৩. কাউকে অন্ধের মতো অনুকরণ করবে না। (২:১৭০)

১৪. ঋণগ্রহীতার সময় খারাপ গেলে ঋণ পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দাও। (২:২৮০)

১৫. সুদ নিও না। (২:২৭৫)

১৬. ঘুষ লেনদেনে জড়িও না। (২:১৮৮)

১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। (২:১৭৭)

১৮. আস্থা রাখো। (২:২৮৩)

১৯. সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণ করো না। (২:৪২)

২০. মানুষের প্রতি ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচার করবে। (৪:৫৮)

২১. দৃঢ়ভাবে ন্যায়বিচারকে সমর্থন করো। (৪:১৩৫)

২২. মৃত ব্যক্তির সম্পদ তার পরিবারের সদস্যদের মাঝেই বণ্টন করা উচিত। (৪:৭)

২৩. পৈতৃক সম্পদে নারীর অধিকার আছে। (৪:৭)

২৪. এতিমের সম্পদ গ্রাস করো না। (৪:১০)

২৫. এতিমদেরকে সুরক্ষা দাও। (২:২২০)

২৬. অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভক্ষণ করবে না। (৪:২৯)

২৭. (বিবদমান) মানুষদের মধ্যে মীমাংসা করার চেষ্টা করবে। (৪৯:৯)

২৮. সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকো। (৪৯:১২)

২৯. গোপন নজরদারি ও পরনিন্দা করবে না। (৪৯:১২)

৩০. তারাই ভুল করছে, যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ন্যায়বিচার করে না। (৫:৪৫)

৩১. নিজের সম্পদ থেকে নিয়মিত দান করো। (৫৭:৭)

৩২. গরীবদের খাওয়ানোর জন্য সবাইকে উৎসাহিত করো। (১০৭:৩)

৩৩. যাদের প্রয়োজন, তাদের খুঁজে বের করে সহায়তা করো। (২:২৭৩)

৩৪. অর্থের অপচয় করোনা। (১৭:২৯)

৩৫. দানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তার ঐশী প্রতিদান নষ্ট করবে না। (২:২৬৪)

৩৬. অতিথিদের সম্মান করো। (৫১:২৬)

৩৭. ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয়ার আগে তা নিজের মধ্যে লালন করো। (২:৪৪)

৩৮. পৃথিবীতে ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে বিরত থাকো। (২:৬০)

৩৯. মানুষকে মসজিদে যেতে বাধা দিও না। (২:১১৪)

৪০. যে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়ো। (২:১৯০)

৪১. যুদ্ধকালীন নৈতিকতা অনুসরণ করো। (২:১৯১)

৪২. যুদ্ধে কখনও পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না। (৮:১৫)

৪৩. ধর্মগ্রহণে কাউকে বলপ্রয়োগ করো না। (২:২৫৬)

৪৪. সকল রাসূলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করো। (২:২৮৫)

৪৫. রজঃস্রাবের সময়ে স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক করবে না। (২:২২২)

৪৬. জন্মের পর পুরো ২ বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাবে। (২:২৩৩)

৪৭. এমনকি অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের দিকে পা-ও বাড়াবে না। (১৭:৩২)

৪৮. মেধার ভিত্তিতে শাসক নির্বাচন করো।(২:২৪৭)

৪৯. কারও ওপর সামর্থ্যের বেশি বোঝা চাপিয়ে দিও না। (২:২৮৬)

৫০. নিজেদের বিভক্ত করো না।(৩:১০৩)

৫১. আল্লাহর সৃষ্টি ও তার রহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করো।(৩:১৯৫)

৫২. নারী ও পুরুষ উভয়েই তাদের ভালো ও মন্দ কাজের প্রতিদান পাবে।(৩:১৯০)

৫৩. রক্তের সম্পর্কের কাউকে বিয়ে করো না।(৪:২৩)

৫৪. নারীর নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই পুরুষের। (৪:৩৪)

৫৫. কৃপণতা পরিত্যাগ করো।(৪:৩৭)

৫৬. ঈর্ষা ত্যাগ করো। (৪:৫৪)

৫৭. তোমরা একে অপরকে হত্যা করো না।(৪:৯২)

৫৮. প্রতারকদের পক্ষে ওকালতি করো না।(৪:১০৫)

৫৯. অত্যাচার ও পাপকার্যের সাথে আপোস করো না।(৫:২)

৬০. ন্যায়কর্মে সহায়তা করো। (৫:২)

৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্যের পরিচায়ক নাও হতে পারে।(৬:১১৬)

৬২. ন্যায়পরায়ণ হও।(৫:৮)

৬৩. অপরাধের দণ্ড যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়।(৫:৩৮)

৬৪. সকল নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করো।(৫:৬৩)

৬৫. মৃত পশু, রক্ত ও শুকরের মাংস তোমাদের জন্য হারাম। (৫:৩)

৬৬. মাদকদ্রব্য ও মদ জাতীয় পানীয় থেকে বিরত থাকো। (৫:৯০)

৬৭. জুয়াখেলা থেকে দূরে থাকো। (৫:৯০)

৬৮. অন্য ধর্মাবলম্বীর দেবতাদেরকে নিয়ে উপহাস করো না।(৬:১০৮)

৬৯. ওজনে কম দিয়ে মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা করো না। (৬:১৫২)

৭০. খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করবে, তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত না। (৭:৩১)

৭১. আল্লাহর ইবাদাতের সময় পরিষ্কার কাপড় পরিধান করো।(৭:৩১)

৭২. যার নিরাপত্তা দরকার তাকে সুরক্ষা প্রদান করো।(৯:৬)

৭৩. বিশুদ্ধতা বজায় রাখো।(৯:১০৮)

৭৪. আল্লাহর করুণা পাওয়ার ব্যাপারে কখনও হাল ছেড়ো না।(১২:৮৭)

৭৫. যারা অজ্ঞতাবশত ভুল করেছে, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন। (১৬:১১৯)

৭৬. আল্লাহর দিকে আমন্ত্রণ হতে হবে জ্ঞান ও ভালো নির্দেশনার মাধ্যমে। (১৬:১২৫)

৭৭. একজনের পাপের বোঝা অন্য কেউ বইবে না।(১৭:১৫)

৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে তোমার সন্তানদেরকে হত্যা করো না। (১৭:৩১)

৭৯. যা সম্পর্কে তুমি জানো না, তার ব্যাপারে মন্তব্য করো না।(১৭:৩৬)

৮০. বাজে কাজ থেকে দূরে থাকো।(২৩:৩)

৮১. অনুমতি ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করবে না।(২৪:২৭)

৮২. একমাত্র আল্লাহর ওপর যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহই তাদের সুরক্ষা প্রদান করবেন।(২৪:৫৫)

৮৩. ভূপৃষ্টে নম্রতা বজায় রেখে চলো।(২৫:৬৩)

৮৪. পৃথিবীতে ন্যায্য অধিকার ত্যাগ করো না।(২৮:৭৭)

৮৫. এক আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না।(২৮:৮৮)

৮৬. সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। (২৯:২৯)

৮৭. সৎ কাজের উপদেশ দেবে ও অসৎ কাজের বাধাদান করবে।(৩১:১৭)

৮৮. ভূপৃষ্টে দম্ভ করে চলো না।(৩১:১৮)

৮৯. নারীরা তার সৌন্দর্যের প্রদর্শনী করে বেড়াবে না।(৩৩:৩৩)

৯০. আল্লাহ সব অপরাধ ক্ষমা করেন।(৪৯:৫৩)

৯১. আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না।(৪৯:৫৩)

৯২. মন্দের ওপর ভালোকে প্রতিষ্ঠিত করো।(৪১:৩৪)

৯৩. কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তোমরা পরামর্শ করো। (৪২:৩৮)

৯৪. তোমাদের মধ্যে সেই সবচেয়ে মহান ব্যক্তি, যে ন্যায়পরায়ণ।(৪৯:১৩)

৯৫. ইসলামে সন্ন্যাসব্রত নেই।(৫৭:২৭)

৯৬. যারা জ্ঞান অর্জন করে, আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কৃত করেন। (৫৮:১১)

৯৭. অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে দয়া ও পরিচ্ছন্ন মনোভাবের সাথে আচরণ করবে।(৬০:৮)

৯৮. লোভ-লালসা থেকে নিজেকে পরিহার করো।(৬৪:১৬)

৯৯. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।(৭৩:২০)

১০০. ভিক্ষুক ও বিচারপ্রার্থীদের ফিরিয়ে দিও না।(৯৩:১০)

আরএম-০৭/২৪/০৩ (ধর্ম ডেস্ক)