রোজা ফারসি শব্দ। আরবিতে এর প্রতি শব্দ হচ্ছে সওম, বহু বচনে সিয়াম (রোজা)। এটির অর্থ: বিরত থাকা বা বিরত রাখা।
শরীয়াতে এটির অর্থ আল্লাহর আদেশ পালনের উদ্দেশ্যে সুবহে সাদেকের শুরু হইতে সূর্যাস্ত পযন্ত পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও বেহুদা কথা-বার্তা থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে রোজা।
পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে রোজার মহাত্যও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরুপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার। কতিপয় দিন, এ সময় যদি কেউ রোগাক্রান্ত হয়, তাহলে অন্য দিনগুলোতে রোজা করবে’। (সূরা বাকারা-১৮৩)।
উপরের আয়াত দ্বারা প্রমাণ হয় যে, হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে সকল নবি-রাসূরের যুগে রোজার প্রচলন ছিল। এবং উম্মাতে মুহাম্মাদীর ওপরও ফরজ করা হয়েছে।
প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেন, ‘ইসলামের ভিত্তি পাচঁটি স্তম্ভের ওপর: (১)আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং হজরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর রাসূল এ সাক্ষ্য দেয়া, (২) নামাজ কায়েম করা, (৩) জাকাত দেয়া, (৪) হজ করা, (৫) রমজানের রোজা পালন করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে রমজানের রোজা পরিত্যাগ করবে, সে যদি সারা জীবন রোজা রাখে তথাপি তার ক্ষতিপূরণ হবে না’। (তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) অন্য হাদিসে বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেকটি নেক আমলের দশগুণ হতে সাত শতগুণ নেকী প্রদান করা হয়ে থাকে কিন্তু রোজা এই নিয়মের ব্যতিক্রম, কেননা আল্লাহ বলেন রোজা একান্তভাবে আমার জন্য রাখা হয়। অতএব আমি এটির পুরস্কার দান করব’। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রোজা এবং কুরআন (কিয়ামতে) আল্লাহর দরবারে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে, রোজা বলবে: হে আমার রব! আমি তাকে দিনের পানাহার ও প্রবৃত্তি থেকে বাধা দিয়েছি, সুতরাং তাহার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন, এবং কুরআন বলবে আমি তাকে ঘুম থেকে বাধা দিয়েছি, সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন, তাই আল্লাহ তাদের সুপারিশ গ্রহণ করিবেন’। (বায়হাকী, মিশকাত)।
আরএম-০২/২৫/০৪ (ধর্ম ডেস্ক)