ইফতারের আগে যা করণীয়

ইফতারের আগে

সূর্য ডুবার সাথে সাথে বিলম্ব না করে ইফতার করা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নত। দেরিতে ইফতার করা ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের অভ্যাস। তারা আকাশের তারকা প্রকাশিত হওয়ার জন্য বসে বসে অপেক্ষা করতে থাকে। তাই মুসলমানদেরকে তাদের বিরোধিতা করে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পরই ইফতার করতে আদেশ করা হয়েছে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মানুষততদিন কল্যাণের ভিতর থাকবে, যত দিন তাড়াতাড়ি ইফতার করবে।” (বুখারী) আমাদের দেশে সাবধানতার জন্য দু’তিন মিনিট দেরী করে ইফতার করা হয়ে থাকে। যা প্রিয় নবী (সা.)এর সুন্নাতের সুস্পষ্ট বিরোধিতার শামিল।

মাগরিবের নামাযের পূর্বে ইফতার করা সুন্নাত। আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) মাগরিবের নামাযের পূর্বে ইফতার করতেন। (আবু দাউদ)

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সুন্নত ছিল খেজুর দিয়ে ইফতার করা। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) মাগরিবের নামায পড়ার আগে কয়েকটি রুতাব (পাকা খেজুর) দিয়ে ইফতার করতেন। পাকা খেজুর না থাকলে ইফতারের সময় শুকনা খেজুর খেতেন। আর তা নাথাকলে সামান্য পানি দিয়ে ইফতার করতেন। (আবু দাউদ)

ইফতারের সময় রোজাদারের দু’আ কবুল হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদারের দু’আ ফেরত দেওয়া হয়না। (ইবনে মাজাহ) ইফতারের সময় নির্দিষ্ট কোন দু‘আ নেই। রোজাদার ইচ্ছামত দু’আ করবে। তবে ইফতার করার সময় শুধু বিসমিল্লাহ বলবে।

ইফতার শেষকরে এই দু’আ পাঠ করবেঃ (ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابَتلَّتِ العُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللّه) উচ্চারণ: জাহাবাজ্ জমাউ ওয়াব্তাল্লাতিলউরূকু ওয়া ছাবাতাল আযরু ইনশাআল্লাহ। অর্থঃ পিপাসা দূরীভুত হয়েছে, শিরাসমূহ শীতল হয়েছে, আল্লাহর ইচ্ছায় বিনিময়ও নির্ধারিত হবে। (আবু দাউদ)।

আরএম-০৩/১৫/০৫ (ধর্ম ডেস্ক)