রমজানে নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু মাসায়েল

রহমত, মাগফিরাত, নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। ইবাদতের মাধ্যমে সৌভাগ্যবান হওয়ার মহাসুযোগ নিয়ে আসে এই মাস। প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের চেষ্টা থাকে বরকতময় এ মাসে রোজা রাখার, বেশির থেকে বেশি কোরআন তেলাওয়াত, তারাবি নামাজ ও অন্যান্য আমল করার। নারী-পুরুষ সবারই কামনা থাকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন করে ধন্য হওয়ার। আজ আমরা জানবো, রমজানে নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু মাসআলা :

প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের প্রতি মাসে মাসিক (ঋতুস্রাব) হওয়া আল্লাহ প্রদত্ত একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। নারীদের নিয়মিত মাসিক হওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। এ জন্য ইসলা‍মি শরিয়ত এ সময়গুলোতে তাদের রোজা না রাখার বিধান রেখেছে। যদি কোনো নারী ওষুধ সেবনের মাধ্যমে মাসিক বন্ধ রাখে তাহলে শরিয়তের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বাধা-নিষেধ নেই। তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এরুপ না করাই উত্তম। অবশ্য কেউ যদি এমন ব্যবস্থা নেয়, তাহলে তার রোজা হয়ে যাবে। (সূত্র : আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২০, ফাতাওয়া দারুল উলুম: ৫/৪০৮, ফাতাওয়া দারুল উলুম: ৬/৪৭৮, আল বাহরুর রায়েক: ২/৪৪৯, ফতোয়ায়ে হক্কানি: ৪/১৫৮)

ফতওয়ায়ে রহিমিয়ায় (৬/৪০৪) বলা হয়েছে, নারীদের জন্য কৃত্রিম উপায়ে সাময়িক ঋতুস্রাব বন্ধ রাখা অনুচিত। এতে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তা সত্ত্বেও কেউ এ পদ্ধতিতে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকা অবস্থায় রোজা-নামাজ করলে তা আদায় হয়ে যাবে।

মাসিক ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবের স্রাবের সময় রোজা রাখা জায়েজ নেই। তবে ওই দিনগুলোর রোজার কাজা করতে হবে; কাফফারা দিতে হবে না। রোজা রাখার পর দিনের বেলায় যদি কোনো নারীর মাসিক শুরু হয়, ওই নারীর জন্য খাওয়া-দাওয়ার অনুমতি আছে। তবে লোকজনের সামনে না খেয়ে নির্জনে খাওয়া-দাওয়া করবে। আর যে নারী মাসিকের কারণে রোজা রাখেনি, দিনের যে সময়ে তার রক্ত বন্ধ হবে, তখন থেকেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে রোজাদারের মতো দিনের অবশিষ্ট অংশ অতিবাহিত করবে এবং পরে ওই দিনের রোজা কাজা করে নেবে। (আল লুবাব : ১/১৭৩)

আরএম-১২/১৬/০৫ (ধর্ম ডেস্ক)