আত্মিক পরিশুদ্ধি ও ক্ষমা লাভে যে দোয়া পড়বেন

আল্লাহর কাছে অনেক দামি গুণ হলো ন্যায় ও ইনসাফ। রমজানে এ গুণ অর্জনের চেষ্টা করা এবং তা অর্জন করা অনেক সৌভাগ্যের। যারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা অর্জনে সক্ষম তাদের জন্য এ গুণ অনেক জরুরি।

কেননা ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা লাভ ও তাকওয়া অর্জনে অনেক বড় হাতিয়ার। আত্মিক পবিত্রতা ও অল্পে শুকরিয়া আদায় করে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে আল্লাহর একান্ত সাহায্য জরুরি।

আত্মিক পবিত্রতা ও ন্যায়-ইনসাফের গুণ অর্জনে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এ কামনা করা-

اَللَّهُمَّ زَيِّنِّيْ فِيْهِ بِالسِّتْرِ وَالْعَفَافِ، وَاسْتُرْنِيْ فِيْهِ بِلِبَاسِ الْقُنُوْعِ وَالْكَفَافِ، وَاحْمِلْنِيْ فِيْهِ عَلَى الْعَدْلِ وَالْإِنْصَافِ، وَآَمِنِّيْ فِيْهِ مِنْ كُلِّ مَا أَخَافُ، بِعِصْمَتِكَ يَا عِصْمَةَ الْخَائِفِيْنَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা যাইয়্যিননি ফিহি বিস-সিতরি ওয়াল আফাফি; ওয়াসতুরনি ফিহি বি-লিবাসিল কুনুয়ি ওয়াল কাফাফি; ওয়াহ্‌মিলনি ফিহি আলাল আদ্‌লি ওয়াল ইংসাফি; ওয়া আমিননি ফিহি মিন কুল্লি মা আখাফু; বি-ইসমাতিকা ইয়া ইসমাতাল খায়িফিন।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আজকের দিনে আপনি আমাকে আত্মিক পবিত্রতার অলংকারে ভূষিত করুন। অল্পে তুষ্টি ও পরিতৃপ্তির পোশাকে ঢেকে দিন। ন্যায় ও ইনসাফে আমাকে সুসজ্জিত করুন। আপনার পবিত্রতার ওসিলায় আমাকে ভীতিকর সবকিছু থেকে নিরাপদে রাখুন। হে আল্লাহভীরুদের রক্ষাকারী।’

রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-

আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।

সুতরাং রমজানের দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জনের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ঈমানদার রোজাদারের চোখের পানির মূল্য অনেক। ঈমানদার যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জন দিতেই পারে তবে সে পানি মাটিতে পরার আগেই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার রহমতের ওসিলায় আত্মিক পরিশুদ্ধি ও ন্যায়-ইনসাফের গুণাবলী অর্জন করার তাওফিক দান করুন। বিগত জীবনে গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-১১/১৮/০৫ (ধর্ম ডেস্ক)