মাহে রমজানের রাতের ইবাদত

মাহে রমজানের

আমরা অনেকেই রমজানের রাতে না ঘুমিয়ে গল্প করে রাত কাটাতে পছন্দ করি। কেউ আবার শপিং করে, রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিয়ে, অনলাইনে সাহরি পর্যন্ত সময় পার করি। যা একেবারেই ঠিক নয়। রমজান মাস ইবাদতের মাস। এ মাসের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ মাসে যথাসাধ্য ইবাদত করা জরুরি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ‘রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে…।’ (মুসনাদে আহমাদ : হাদিস ৬৬২৬)

তাই এ মাসের প্রতিটি সময় বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া, তাওবা ও নফল নামাজের মাধ্যমে কাটানোর চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। তা ছাড়া এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এত বড় ঘোষণা আসার পরও কেউ যদি নিজেকে পাপমুক্ত না করতে পারে, তবে তার মতো হতভাগা আর কে হতে পারে? মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক।’ (জামেউল উসুল, হাদিস : ১৪১০)

নিজে কোরআন পড়া ও একে অন্যকে কোরআন শোনানো রমজানের বিশেষ ইবাদত। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, জিবরাইল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন আর রাসুল (সা.) তাঁকে কোরআন শোনাতেন। (বুখারি, হাদিস : ১৯০২)

আরএম-০২/২১/০৫ (ধর্ম ডেস্ক)