মক্কা-মদিনার যে মর্যাদা ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবী (সাঃ)

মক্কা-মদিনার

দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদা ও সম্মানের স্থান পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা। এ দুই স্থানে অবস্থিত পবিত্র কাবা শরিফ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দুই স্থানে সুস্পষ্ট ফজিলত ও মর্যাদা ঘোষণা করেছেন।

হজ ও ওমরা উপলক্ষ্যে সারাবিশ্বের অসংখ্য মানুষ বছরব্যাপী এ দুই পবিত্র নগরীতে আসা-যাওয়া করে। তাদের এ আসা-যাওয়ায় মক্কা-মদিনার ইজ্জত ও সম্মানের প্রতি লক্ষ রাখা অত্যন্ত জরুরি। হাদিসে এ স্থানদ্বয়ের গুরুত্ব ও মর্যাদায় হাদিসে এসেছে-

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আদি ইবনে হামরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ‘হাযওয়ারা’ নামক স্থানে ছিলেন তখন উটের উপর সওয়ার অবস্থায় তাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জমিন। আর আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহর কসম! যদি আমাকে তোমার (বুক) থেকে চলে যেতে বাধ্য না করা হতো, তাহলে আমি কখনো (তোমায় ছেড়ে) যেতাম না।’ (ইবনে মাজাহ)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয় বলেন, ফতহে মক্কার (মক্কা বিজয়ের) দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, নিশ্চয়ই আসমান জমিন সৃষ্টির দিনই আল্লাহ এই জমিনকে (মক্কা নগরীকে) হারাম বা সম্মানিত করেছেন। সুতরাং কেয়ামত পর্যন্ত তা হারাম ও সম্মানিত থাকবে।’ (মুসলিম)

অন্য দিকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার মর্যাদা ঘোষণা করেন বলেন-

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘শুধু তিনটি মসজিদের উদ্দেশে সফর করা যাবে-

– আমার মসজিদ (মদিনার মসজিদে নববি)

– (মক্কার) মসজিদে হারাম। এবং

– মসজিদে আকসা (জেরুজালেম)।’ (মুসলিম)

হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার এই মসজিদে নামাজ আদায় অন্য মসজিদের হাজার নামাজের চেয়েও উত্তম। তবে (মক্কার) মসজিদে হারাম ছাড়া। কেননা, (মক্কার) মসজিদে হারামে একটি নামাজ অন্য মসজিদের এক লক্ষ নামাজের চেয়ে উত্তম।’ (মুসনাদে আহমদ)

মুসলিম উম্মাহর উচিত, পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত মসজিদে হারাম ও কাবা শরিফ এবং মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববি ও রওজা শরিফে পাশ্ববর্তী স্থানে নামাজ আদায় ও ইবাদত বন্দেগি করা। এ দুই পবিত্র স্থানে ইবাদতে রয়েছে অনেক বেশি ফজিলত ও মর্যাদা।

আল্লাহ তাআলা সারা দুনিয়ার সব মানুষকে হাদিসে ঘোষিত মর্যাদার এ স্থানগুলোর প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানোর মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ, সাওয়াব ও সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-০৪/১৯/০৭ (ধর্ম ডেস্ক)