হজের দিন আরাফাহ ময়দানের করণীয় ও দোয়া

হজের দিন

আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হওয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় পবিত্র হজ। আর এ দিনটি হচ্ছে ৯ জিলহজ ‘ইয়ামুল আরাফাহ’। প্রত্যেক আরবি (হিজরি) বছরের শেষ মাসের ৯তম দিনই হচ্ছে এটি। ইংরেজি হিসেবে এবার তা হবে ১০ আগস্ট শনিবার।

সারাবিশ্ব থেকে আগত আল্লাহর মেহমানরা আরাফাতের ময়দানের বিশ্ব মুসলিম সম্মিলনে একত্রিত হয়। এ দিনে আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিষ্পাপ করে দেন। এ দিন ও হজ সম্পর্কে বিশ্বনবি বলেছেন, ‘আলহাজ্জু আরাফাহ’ অর্থাৎ আরাফাই হজ।

৯ জিলহজ দিনব্যাপী মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে কিছু করণীয় ও বিশেষ তাসবিহ ও দোয়া। হজ পালনকারীদের প্রস্তুতিতে ৯ জিলহজের করণীয়, তাসবিহ ও দোয়া তুলে ধরা হলো-

> এ দিন ফজরের নামাজের পর যে যেখানে থাকবে সেখানে থাকা অবস্থায়ই তাকবিরে তাশরিক পড়া। তাববিরে তাশরিক ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত পড়া ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক হলো-

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’

অর্থ : ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।’

> তাকবিরে তাশরিক পড়ার পর তালবিয়া পড়া। পুরো তালবিয়াকে ৪ ভাগে (নিঃশ্বাসে) ৩ বার পাঠ করা-
তালবিয়া হলো-

لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ

উচ্চারণ : লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক, লা শারিকা লাক।

অর্থ :‘ আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সব প্রশংসা ও সম্পদরাজি তথা নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্যও আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই ‘

> ৯ জিলহজ সূর্য ওঠার পর তাকবিরে তাশরিক, তালবিয়া, দোয়া এবং তাসবিহ-তাকবির পড়তে পড়তে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়া।

> অবশ্যই জোহরের আগে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া।

> আরাফাতের ময়দানে জাবালে রহমতের কাছাকাছি অবস্থান করা উত্তম।

> জোহর ও আসরের নামাজ আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরায় এক সঙ্গে জামাআতে নিদিষ্ট শর্তানুসারে আদায় করা উত্তম।

> মসজিদে নামিরায় অনুষ্ঠিত জামাআতে শরিক হতে না পারলে নিজ নিজ তাবুতে যথাসময়ে জোহর ও আসর নামাজ পড়ে নেয়া।

> মসজিদে নামিরার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ‘বতনে উরানায়’ অবস্থান করা যাবে না।

> আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালীন সময়ে তাওবা-ইসতেগফার, তাসবিহ-তাহলিল-তাকবির ও দোয়ার মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা। কেননা আরাফাতের ময়দানের দোয়াই আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি কবুল করেন।

> দুপুরের আগেই সম্ভব হলে আরাফাতের ময়দানে গোসল করে নেয়া। অন্যথায় ওজু করে নেয়া।

>হজের খুতবা মনোযোগসহকারে শোনা।

> সূর্য ডোবা পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। তবে কেউ যদি সূর্য ডোবার আগে আরাফাতের ময়দান থেকে বের হয়ে যায়, তবে তার কর্তব্য হলো তিনি পুনরায় আরাফাতের ময়দানে ফিরে আসবেন এবং সূর্য ডোবার পর আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। ফিরে না আসলে ওই ব্যক্তি জন্য দম বা কুরবানি আবশ্যক হয়ে যাবে।

> আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার ও দোয়া করা।

>সূর্য ডোবার পরপরই মাগরিব না পরেই মুজদালিফার উদ্দেশ্যে তালবিয়া পড়তে পড়তে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করা।

> আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করার সময় মুজদালিফায় না পৌছে রাস্তায় মাগরিবের নামাজ পড়া যাবে না। মুজদালিফায় পৌছে এক আজান ও আলাদা আলাদা ইক্বামতে মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করা।

> যদি কেউ আরাফাতের ময়দান কিংবা পথে মাগরিবের নামাজ আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির জন্য মুজদালিফায় গিয়ে পুনরায় মাগরিবের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।

আরাফাতের ময়দানে পড়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে এ দোয়াটি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত বলে অনেকেই উল্লেখ করেন থাকেন-

لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ المُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرً – اَللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَالَّذِىْ تَقُوْلُ وَ خَيْرًا مِمَّا نَقُوْلُ – اَللَّهُمَّ لَكَ صَلَاتِىْ وَ نُسُكِىْ وَ مَحْيَاىَ وَ مَمَاتِىْ وَ اِلَيْكَ مَأبِىْ وَ لَكَ رَبِّ تُرَاثِىْ – اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَ وَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَ شَتَاتِ الْاَمْرِ – اَللَّهُمَ اِنِّىْ أَسْئَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَجِىْءُ بِهِ الرِّيْحُ – اَللَّهُمَّ اجْعَلْ فِىْ قَلْبِىْ نُوْرًا وَّ فِىْ سَمْعِىْ نُوْرًا وَّ فِىْ بَصِرِىْ نُوْرًا- اَللَّهُمَّ اشْرَحْ لِىْ صَدْرِىْ وَ يَسِّرْلِىْ اَمْرِىْ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ وَسَاوِسٍ فِىْ الصَّدْرِ وَشَتَاتِ الْاَمْرِ وَ عَذَابِ الْقَبْرِ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু কাল্লাজি তাকুলু ওয়া খাইরাম মিম্মা নাকুলু। আল্লাহুম্মা সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি ওয়া ইলাইকা মাআবি ওয়া লাকা রাব্বি তুরাছি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি ওয়া ওয়াসওয়াসাতিস সাদরি ওয়া শাতাতিল আমরি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি মা তাঝিউবিহির রিহু। আল্লাহুম্মাঝআল ফি ক্বালবি নুরাও ওয়া ফি সাময়ি নুরাও ওয়া ফি বাসারি নুরা। আল্লাহুম্মাশরাহলি সাদরি ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি ওয়া আউজুবিকা মিন ওয়াসায়িসিন ফিস সাদরি ওয়া শাতাতিল আমরি ওয়া আজাবিল ক্বাবরি।

এ ছাড়াও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়াগুলো পড়া যেতে পারে। আর তাহলো-

– سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُلِلّهِ وَ لَا اِلَهَ اِللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ

উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’(মুসলিম, মিশকাত)

– اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِى وَ دُنْيَاىَ وَ اَهْلِىْ وَ مَالِىْ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফি দ্বীনি ওয়া দুনিয়ায়া ওয়া আহলি ওয়া মালি।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)

– اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَ ضَلَعِ الدَّيْنِ وَ غَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া দালায়িদ দাইনি ওয়া গালাবাতিল রিজালি।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

– اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَاَعُوْذُبِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَاَعُوْذُبِكَ مِن اَرْذَلِ الْعُمُرِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِن فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিন আরজালিল উমুরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া ওয়া আজাবিল কাবরি।’ (বুখারি ও মিশকাত)

– اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِن زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَ تَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَ فُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَ جَمِيْعِ سَخَطِكَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নিমাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফাতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা।’

– رَبِّ اَعِنِّىْ وَ لَا تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِىْ وَ لَا تَنْصُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِىْ وَ يَسِّرِ الْهُدَى لِىْ

উচ্চারণ : ‘রাব্বি আয়িন্নি আলা তুয়িন আলাইয়্যা ওয়াংছুরনি ওয়া লা তাংছুর আলাইয়্যা ওয়াহদিনি ওয়া ইয়াস্সিরিল হুদা লি।’

– اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِن جَهْدِ الْبَلَاءِ وَ دَرَكِ الشَّقَاءِ وَ سُوْءِ الْقَضَاءِ وَ شَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালায়ি ওয়া দারাকিশ শাক্বায়ি ওয়া সুয়িল ক্বাজায়ি ওয়া শামাতাতিল আ’দায়ি।’

– يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِى عَلَى دِيْنِكَ – اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ

উচ্চারণ : ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা; আল্লাহুম্মা মুছার্রিফাল কুলুবি ছার্রিফ কুলুবানা আলা ত্বাআতিকা।’

– اَللَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’

– اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَلُكَ الْهُدَى وَ التُّقَى وَ الْعَفَافَ وَالْغِنَى

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত্তুক্বা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।’

– اَللَّهُمَّ اَنْتَ رَبِّىْ لَا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِى وَ أَنَا عَبْدُكَ وَ أَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَ وَعْدِكَ مَااسْتَطَعْتُ – أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ – أَبُوْءُلَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ و أَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ – فَاِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্বতানি, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস্তাত্বাতু। আউজুবিকা মিন শার্রি মা ছানা’তু। আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলি। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।’

– سُبْحَانَ الله – اَلْحَمْدُ لِلَّهِ – اَللهُ اَكْبَرُ – لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ – لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ سَيْئٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহ (৩৩ বার), আলহামদুলিল্লাহ (৩৩বার), আল্লাহু আকবার (৩৩বার/৩৪বার), লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির (১বার)

– سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ – سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ

উচ্চারণ : ‘সুবহানিাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি; সুবহানাল্লাহিল আজিম।’

– اَللَّهُمَّ اكْفِنِىْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা ওয়া হারামিকা ওয়া আয়িন্নি বিফাজলিকা আম্মান সেওয়াকা।’

– يَا حَىُّ يَا قَيُّوُمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغَيْثُ

উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কায়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’

– لَا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।’

– اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ القَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ

উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহ হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’

– اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِى الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনি মিনান্নার।’

কুরআন ওহাদিসে উল্লেখিত অন্যান্য দোয়া ও জিকির, তাসবিহ-তাহলিলসহ তাওবা-ইসতেগফার কা যেতে পারে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ৯ জিলহজ হজের দিনে কাজগুলো যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। হজে মাবরূর দান করুন। হজে পালনকারী সবাইকে নিষ্পাপ হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

আরএম-০১/০৭/০৮ (ধর্ম ডেস্ক)