গোনাহ মাফ ও মর্যাদা লাভে প্রিয়নবী (সা.)-এর উপদেশ

গোনাহ মাফ

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য এমন অনেক ছোট ছোট ইবাদত ও আমল ঘোষণা করছেন, যাতে গোনাহমুক্ত জীবন ও মর্যাদা লাভে ধন্য হয়।

হাদিসে পাকে প্রিয়নবী ঘোষণা করেন, ‘তোমার ঈমানকে খাঁটি কর, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ সুতরাং গোনাহ মাফে এবং মর্যাদা বৃদ্ধিতে প্রিয়নবীর ঘোষিত ফরজ, সুন্নাত ও নফল ছোট ছোট ইবাদতের প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরি।

নামাজের জন্য ওজু করা ফরজ এবং ছোট্ট ইবাদত। সহজেই ওজু করা যায়। ইতোপূর্বে ওজুর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করলেন, ওজুর গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও মর্যাদার কথা। যা তুলে ধরা হলো-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদের বলব না, আল্লাহ কি দিয়ে গোনাহ মুছে দেন এবং মর্যাদা বাড়িয়ে দেন? সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হ্যাঁ, (বলে দিন)। তিনি বললেন-

– কষ্ট থাকার পরও ভালোভাবে ওজু করা।

– মসজিদের দিকে বেশি বেশি যাতায়াত করা। এবং

– এক নামাজ শেষ করে পরবর্তী নামাজের জন্য অপেক্ষায় থাকা। আর এটাই হলে ‘রিবাত’ (প্রস্তুতি)।’ (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

উল্লেখিত হাদিসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছোট্ট ৩টি উপদেশ প্রদান করেছেন। যাতে তাঁর উম্মতের গোনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

কষ্ট থাকুক আর না থাকুক ভালোভাবে ওজু করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার গোনাহ মাফ করে দেবেন। ওজুর পানির সঙ্গে বান্দার গোনাহ ঝরে যায় বলে অন্য হাদিসে প্রিয়নবী তা বর্ণনা করেছেন।

মসজিদ দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ স্থান। মসজিদে কখনো গোনাহের কথা ও কাজ সংঘটিত হয় না। তাই বেশি বেশি মসজিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় রয়েছে গোনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির ঘোষণা। কারণ মসজিদে প্রবেশ ও বের হতে রয়েছে রহমত বরকত ও কল্যাণ দোয়া।

এক ওয়াক্ত নামাজ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজের প্রতি যত্নশীল বা আগ্রহ থাকলে মধ্যবর্তী এ সময়ে যেমন অন্যায় কাজ করা হয় না; তেমনি আবার এ সময়টুকুও ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।

সুতরাং প্রিয়নী ঘোষিত সুস্থ ও অসুস্থ অবস্থায় ভালোভাবে ওজু করা। বেশি বেশি মসজিদে যাতায়াত ও অবস্থান করা এবং এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পর পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ আদায়ে আগ্রহী হওয়া জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবীর এ ছোট্ট উপদেশটি পালন করে গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মর্যাদা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-০৩/১৩/১০ (ধর্ম ডেস্ক)