যে দোয়া পড়লে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গোনাহও ক্ষমা হয়

যে দোয়া

জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসে দোয়াকে মুমিনের হাতিয়ার বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) উম্মতকে ফজিলতপূর্ণ ও পুণ্যময় অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। তাতে এমন কিছু ছোট ছোট দোয়া রয়েছে, যা পাঠ করলে মুমিনের সব গোনাহ ক্ষমা করা হয়। তেমনই কয়েকটি দোয়া উল্লেখ করা হলো-

এক. প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করা। এরপর ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এ আমল করবে তার গোনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৯৭)

(দোয়ার অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তাঁর কোনো অংশীদার নেই। সামগ্রিক রাজত্ব তাঁরই। সব প্রশংসা তাঁর। তিনিই সবকিছুর নিয়ন্তা।)

দুই. দৈনিক ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি’ পাঠ করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এ আমল করবে, সমুদ্রের ফেনার পরিমাণ হলেও তার গোনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪০৫; মুসলিম, হাদিস : ২৬৯১)

(দোয়ার অর্থ: আল্লাহর পবিত্রতা বয়ান করছি। তাঁর গুণগান করছি।)

৩. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শোয়ার সময় দোয়াটি পাঠ করবে, তার গোনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৫২৮)

(দোয়ার অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তাঁর কোনো অংশীদার নেই। রাজত্ব একমাত্র তাঁরই। সব প্রশংসা তাঁর। তিনিই সবকিছুর নিয়ন্তা। আল্লাহর আশ্রয় ও সাহায্য ছাড়া কোনো গতি নেই। আল্লাহর পবিত্রতা বয়ান করছি। তাঁর গুণগান করছি। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনিই মহান।)

উল্লেখ্য, হাদিসবিশারদগণ বলেন, গোনাহ মাফের এই ফজিলত কেবল সগিরা (ছোট) গোনাহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কবিরা বা গুরুতর গোনাহ নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করা ছাড়া ক্ষমা করা হবে না। তাই কবিরা গোনাহর কারণে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার কোনো বিকল্প নেই।

আরএম-০৯/১০/১২ (ধর্ম ডেস্ক)