মুমিনের কল্যাণে কাজ করলে আল্লাহ বান্দাকে যে ৪ নেয়ামত দান করেন

মুমিনের কল্যাণে

মুমিন মুমিনের আয়না। মুসলমান মুসলমানের ভাই। ইসলামের হুকুম হলো প্রত্যেক মুসলমান তার অপর মুসলমান ভাইয়ের কল্যাণ কামনা করবে। ইসলাম মুমিন মুসলমানকে পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও সদ্ব্যবহারে ঐক্যের এ শিক্ষাই দেয়। মহান আল্লাহ বলেন-

‘প্রত্যেক মুমিন ভাই ভাই।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ১০)

যেহেতু মুমিন মুসলমান ভাই ভাই। তাই এক মুমিনের প্রতি অন্য মুমিনের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য। যে দায়িত্ব কর্তব্য পালন করলে ওই মুমিনের কল্যাণ করা মহান আল্লাহর দায়িত্ব হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

> যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তাআলা তার কেয়ামতের দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন।

> যে ব্যক্তি কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকটে নিরসন করবে, আল্লাহ তাআলা তার দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দেবেন।

> যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া-আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।

> আর যে ব্যক্তি আল্লাহর কোনো বান্দার সাহায্যে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহ তাআলাও ওই বান্দার সাহায্য করতে থাকেন।’ (মুসলিম, মিশকাত)

সুতরাং উম্মতে মুসলিমের উচিত, হাদিসে উল্লেখিত ফজিলতগুলো পেতে হলে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্য এ একটি হাদিস অনুযায়ী জীবন পরিচালনা জরুরি। সে হাদিসটিও বর্ণনা করেছেন হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

‘মুসলমান মুসলমানের ভাই, সে তার প্রতি অত্যাচার করবে না। তিনি (নিজের) বুকের দিকে ইশারা করে তিনবার বললেন, ‘তাকওয়া এখানে’। নিজ মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও ঘৃণা করা অন্যায়। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান সবই হারাম।’ (মুসলিম, মিশকাত)

মনে রাখতে হবে

রাসুলে আরাবি বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি ততক্ষণ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ সে তার বাইয়ের জন্য সেই জিনিস পছন্দ করবে, যা সে তার জন্য পছন্দ করবে।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)

দুনিয়া ও পরকালীন জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তায় সমাজ জীবনে চলার পথে সব সময় এক মুমিন অপর মুমিনের কল্যাণ কামনা করা জরুরি। হাদিসের নসিহতগুলো বাস্তবজীবনে আমল করাও জরুরি।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাকে পরস্পর ভাই ভাই হয়ে জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন। মুসলমানের কল্যাণে জীবন অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে শান্তি ও নিরাপত্তার জীবন লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-০৪/২৬/০১ (ধর্ম ডেস্ক)