কোয়ারেন্টাইনে থাকার যে ফজিলত বলেছেন বিশ্বনবি

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাসহ যে কোনো ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে কোয়ারেন্টাইন বা ঘরে অবস্থান করার বিকল্প নেই। আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহামারি সম্পর্কে যেমন নিজ নিজ অঞ্চলে অবস্থানের কথা বলেছেন তেমনি নিজ অঞ্চলে অবস্থান করার বিশাল ফজিলতের বর্ণনাও দিয়েছেন।

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু খলিফা হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদিস শোনালেন। আর তাহলো-

‘তোমরা যখন কোনো এলাকায় মহামারি প্লেগের বিস্তারের কথা শুনো, তখন সেখানে প্রবেশ করো না। আর যদি কোনো এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব নেমে আসে, আর তোমরা সেখানে থাকো, তাহলে সেখান থেকে বেরিয়েও যেও না।’ (বুখারি)

যারা মহামারির সময় কোয়ারেন্টাইন তথা ঘরে অবস্থান করবে তাদের জন্য রয়েছে মহা সুসংবাদ। হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ মুসনাদে আহমদ এর বর্ণনায় এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো বান্দা যদি মহামারি আক্রান্ত এলাকায় অবস্থান করে। আর নিজ বাড়িতে ধৈর্য সহকারে সাওয়াবের নিয়তে এ বিশ্বাস নিয়ে (ঘরে) অবস্থান করে যে, আল্লাহ তাআলা তাকদিরে যা চূড়ান্ত করে রেখেছেন, তার বাইরে কোনো কিছু তাকে আক্রান্ত করবে না, তাহলে তার জন্য রয়েছে একজন শহীদের সমান সাওয়াব।’ (মুসনাদে আহমদ)

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রীয় আইন জারি করে প্রশাসনিকভাবে তা বাস্তবায়ন করানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে মানুষ কোনোভাবেই ঘরের বাইরে না আসে। আর তাহলো বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসেরই বাস্তবায়ন।

করোনাভাইরাসের এ সময়ে ঘর থেকে বের হয়ে নিজেদের ধ্বংসের মুখে ঠেলা দেয়া কোনো ঈমানদার ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। তাই হাদিসের অনুসরণ মোতাবেক প্রত্যেক মানুষের জীবন পরিচালনা করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোয়ারেন্টাইন তথা ঘরে অবস্থান করে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।