সারাদিন শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়বেন

শয়তানের

শয়তান মানুষের সবচেয়ে বড় ও প্রকাশ্য দুশমন। মানুষকে গোমরাহিতে লিপ্ত করা। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে “শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন”। সুতরাং মানুষকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে হেফাজত থাকতে বলা হয়েছে ইসলামে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচার দিক নির্দেশনাও রয়েছে ইসলামে।

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার রহমতের কারণে ক্ষমা ও নাজাত দান করবেন। তারপরও কোরআন হাদিসে অসংখ্য আমল ও দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। প্রিয়নবী (সা.) হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ঈমানকে খাঁটি কর; অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’

শয়তান থেকে নিরাপদে থাকার দোয়া

শয়তান থেকে নিরাপদে থাকার জন্য প্রত্যেহ ফজরের পর নিম্নের দোয়াটি পাঠ করলে শয়তান তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। দোয়াটি হলো-

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ামুতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। ’

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক। তার কোনো শরিক নেই, সার্বভৌমত্ব তারই, সব প্রশংসা তারই জন্য, তিনিই জীবন ও মৃত্যুদান করেন আর তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।

হজরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দুই পা ভাজ অবস্থায় কারো সঙ্গে কথা বলার পূর্বে দশ বার উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করে- তার আমলনামায় দশটি নেকি লেখা হয়, দশটি গুনাহ বিলুপ্ত করা হয় এবং দশগুণ মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। সে ওই দিন সব রকমের বিপদ থেকে মুক্ত থাকে, তাকে শয়তানের ধোঁকা থেকে নিরাপদে রাখতে পাহারার (ফেরেশতাদের দিয়ে) ব্যবস্থা করা হয়। তবে ওই দিন শিরক ছাড়া অন্য কোনো গুনাহ তাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে না। -তিরমিজি

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, শয়তান মানুষের অন্তঃকরণে (কলব) আসন গেড়ে বসে থাকে। যখন সে আল্লাহর জিকির করে তখন শয়তান কলব ছেড়ে পিছনে সরে যায়। আর যখন জিকির থেকে অমনোযোগী হয়ে যায়, তখন আবার (কলবের মধ্যে) প্ররোচনা দিতে থাকে।

মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের সবাইকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করেন। আমিন।