ঈদের কতদিন পর্যন্ত কোরবানি দেয়া জায়েজ?

ঈদুল আজহার অবিচ্ছেদ্য অংশ কোরবানি। আর কোরবানির অবিচ্ছেদ্য অংশ সুস্থ-সবল পশু। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার ইবাদতের জন্য এই পশু জবাই করার নামই কোরবানি। কোরবানি শব্দের আভিধানিক অর্থ ত্যাগ, আত্মোৎসর্গ; নৈকট্য লাভ। যারা সামর্থ্যবান, তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব। রাসুল (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কোরবানি করেছেন।

হিজরি ১১তম মাস তথা হজের মাস জিলহজের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন পুরুষ ও নারীর কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৭ ভরি/তোলা সোনা অথবা সাড়ে ৫২ ভরি/তোলা রুপা বা এর সমপরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্ধারিত এই দিনে কোরবানি করা ওয়াজিব।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ বলেন, (হে নবী!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে (নিয়ামতপূর্ণ) কাওসার দান করেছি, অতএব, আপনি আপনার রব-এর সন্তুষ্টির জন্য সালাত কায়েম করুন ও তার নামে কোরবানি করুন। (সুরা আল কাওসার, আয়াত ১-২)

কোরবানি সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করবে না, সে যেন ঈদগাহের নিকটে না আসে। (আহমদ ও ইবনে মাজাহ)

কোরবানি কোন কোন দিন করা যায়?

ঈদুল আজহা মোট তিন দিন। সে হিসেবে কোরবানিও তিন দিন করা যায়। জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানির সময়। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই (প্রথম দিনে) কোরবানি করা উত্তম। (মুয়াত্তা মালেক : ১৮৮; বাদায়িউস সানায়ি : ৪/১৯৮, ২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২৯৫)

যেসব এলাকার লোকদের ওপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব, তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো অপারগতার দরুণ যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয়, তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনেও কোরবানি করা জায়েজ। (বুখারি : ২/৮৩২; ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৪; আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩১৮)

এসএইচ-১৯/০৯/২২ (ধর্ম ডেস্ক)