জিদাহিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার উকিলপাড়া এলাকার ‘জঙ্গি আস্তানা’র ওই বাড়িটি জঙ্গিরা ভাড়া নেয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার।
শুক্রবার দুপুরে শাহজাদপুরের উকিলপাড়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
শাহজাদপুরে ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে বেরিয়ে এসে ৪ জন আত্মসমর্পণ করেছে জানিয়ে কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতেই তারা ২০ থেকে ২৫ দিন আগে এই বাসাটি ভাড়া নেয়।
তিনি বলেন, নব্য জেএমবির এই সদস্যরা ছদ্মবেশে এই এলাকায় থেকে প্রচারণা চালায়। জিদাহিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তারা এই বাড়িতে নিয়ে আসতো।
এখনো বাড়িতে সার্চ চলছে জানিয়ে কর্নেল র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, বাড়িতে কয়েকটি ব্যাগ আছে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বড় ধরনের অস্ত্রের ডাম্প এখানে নেই। তাদের কাছে বিস্ফোরণ করার মতো কিছু ছিল না।
তিনি বলেন, ওই বাড়ি থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, গান পাউডার, ফিউজ, জিহাদি বই, বিভিন্ন নির্দেশনামূলক বই, একটি চাপাতি ও দু’টি রামদা পাওয়া গেছে।
এর আগে শুক্রবার ভোর থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে এই বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই বাড়ি থেকে চারজন বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করে।
চারজন হলেন- নব্য জেএমবির আঞ্চলিক সেকেন্ড ইন কমান্ড কিরণ ওরফে শামীম ওরফে হামিম, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাইমুল ইসলাম, দিনাজপুরের আতিয়ার রহমান ওরফে কলম সৈনিক ও সাতক্ষীরার আমিনুল ইসলাম ওরফে শান্ত।
র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাজশাহীর শাহ মখদুম এলাকা থেকে জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাহমুদসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া জবানবন্দি অনুযায়ী এই বাড়িটিতে জঙ্গি আস্তানা রয়েছে বলে জানা যায়।
এসএইচ-২৯/২০/২০ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)