যে কারনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল

দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফেনী-১ আসনের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ফেনীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এই খবর নিশ্চিত করেছেন। ওয়াহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, “খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিষয়ক প্রতিবেদন এসেছে আমাদের হাতে। তার ভিত্তিতেই খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।”

“পুলিশ আমাদের কাছে যে তথ্য দিয়েছে তা অনুযায়ী, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দশ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত এবং জিয়া চ্যারিটেবল মামলা হিসেবে পরিচিত মামলায় তিনি ৭ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত।”

“সেকারণে ১৯৭২ সালের গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ এর অনুচ্ছেদ ১৪ এর বিধান মোতাবেক খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে”, নিশ্চিতদ করেন মি. ওয়াহিদুজ্জামান। খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

বিএনপির নেতারা আশা করছিলেন যে, তাদের নেত্রী ‘নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন’ এবং সেজন্যে তাকে পাঁচটি আসনে মনোনয়নও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একক একটি বেঞ্চ দুটি দুর্নীতির মামলায় সাবিরা সুলতানা নামে একজন বিএনপি নেত্রীকে নিম্ন আদালতের দেয়া মোট ছ’বছরের কারাদন্ডের সাজা স্থগিত করেছিলেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মতে, হাইকোর্টের রায়ে সাজা স্থগিত হবার পর দন্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিতও হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন – এমন দৃষ্টান্ত আছে। তাই বৃহস্পতিবারের রায়ের ফলে ‘খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য সাজাপ্রাপ্ত রাজনীতিকরা হয়তো নির্বাচন করতে পারবেন’ এমন সম্ভাবনা তৈরি হয় ।

কিন্তু শনিবারই সরকারের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

কয়েকদিন আগে বিএনপির পাঁচজন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে তাদের সাজা ও দণ্ড স্থগিত করার জন্যে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।

তখন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ তাদের আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছিল যে কারো দু’বছরের বেশি দণ্ড বা সাজা হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন, “সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে নৈতিক স্খলনের কারণে কেউ যদি দুই বছর কিম্বা তারও বেশি সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।”

এসএইচ-০৪/০২/১২ (অনলাইন ডেস্ক)