আপিল করেও বাদ পড়লেন যারা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থিতার পক্ষে-বিপক্ষে করা আপিলের ওপর শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনে এ শুনানি শুরু হয়। এদিন অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেলেও টেকেনি অনেকের আপিল।

তবে ইসির শুনানি শেষে যাদের নাম বাদ পড়বে তারা চাইলে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।

এর মধ্যে ৫৬ জন বৈধ, ৪০ জন বাতিল ও দুইজনের আবেদন স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর বিষয়ে দুটি আপিল আবেদন করা হলেও অনুপস্থিত থাকায় শুনানি হয়নি।

প্রথম দিন দুপুরের বিরতির আগ পর্যন্ত আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি যারা তারা হলেন-চাপাইনবাবগঞ্জ-১ নবাব মো. শামসুল হুদা, খাগড়াছড়ির আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, ঝিনাইদহ-১ আবদুল ওহাব, সাতক্ষীরা-২ আফসার আলি, মাদারীপুর-৩ মো. আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকারম হোসেন, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর-১ মো. পারভেজ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ এস এম খলিলুর রহমান, ফেনী-১ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাইদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মো. নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ মো. তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ মো. এমদাদুল হক, খুলনা-২ এস এম এরশাদুজ্জামান, ঢাকা-১ মো. আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ মো. আব্দুল মুহিত, বগুড়া-৬ এ কে এম মাহবুবুর রহমান, রাঙামাটির অমর কুমার দে, বগুড়া-৪ আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা-১ এস এম মুজিবর রহমান, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৩ মো. বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ মো. আফজাল হোসেন, মৌলভিবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী, ফেনী-৩ হাসান আহমদ, ময়মনসিংহ-১০ মো. হাবিবুল্লাহ, জামালপুর-৪ মোহা. মামুনুর রশিদ, বগুড়া-২ আব্দুল কাশেম, নীলফামারী-৪ মো. আমজাদ হোসেন, নীলফামারী-৩ মো. ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-২ আখতার হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল ফয়েজ ভূইয়া, কুমিল্লা-১০ আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-২ মো. সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা-৪ মাহবুবুল আলম, নোয়াখালী-৩ এইচ আর এম সাইফুল ইসলাম, ফেনী-১ মো. নূর আহমদ মজুমদার।

দুপুরের পর আরো অবৈধ হয়েছেন ফেনী-১ নূর মো. মজুমদার, গাইবান্ধা-২ মকদুবর রহমান, লালমনিরহাট-১ আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন এবং গাইবান্ধা-৩ থেকে মো. মনজুরুল হক।

এ ছাড়াও স্থগিত রয়েছে ঝিনাইদহ-৩ মো. কামরুজ্জামান স্বাধীন, চট্টগ্রাম-৫ আসনের মির মোহাম্মদ নাছির এবং অনুপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনা-১ আসনের শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার।

গত তিন দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৪৩টি আপিল জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রথম দিন ৩ ডিসেম্বর ৮৪, দ্বিতীয় দিন ৪ ডিসেম্বর ২৩৭ এবং শেষ দিন গতকাল বুধবার ২২২টি আপিল জমা পড়ে।

শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনার, ইসির সচিব ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত আছেন।

এ উপলক্ষে নির্বাচন ভবনের ১১ তলায় আগেই ট্রায়াল রুম তৈরি করেছে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার প্রথম দিন ১ থেকে ১৬০, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ এবং তৃতীয় দিন শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল।

গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের পর নানা কারণে ৭৮৬টি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

এসএইচ-১৫/০৬/১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)