এবার বিএনপির চাদরে নিজেদের ঢেকে নিলো জামায়াত!

যুদ্ধাপরাধীর সন্তান থেকে জামায়াতের হেভিওয়েট নেতা, সব প্রার্থীর পরিচয় এখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির প্রার্থীদের মার্কা ধানের শীষ। অনেক দর-কষাকষির পর সংসদ নির্বাচনে বিতর্কিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি আসন ছাড়লো বিএনপি।

বিএনপির ধানের শীষের ছায়াতলে এখন জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্ট। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না এমন ঘোষণা দিয়ে ড. কামালের নেতৃত্বে বিএনপিসহ ছোট কয়েকটি দলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যাত্রা শুরু করলেও এখন যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছে ঐক্যফ্রন্ট।

নির্বাচন কমিশন মুক্তিযুক্তের বিরোধিতাকারী দলটির নিবন্ধন বাতিল করায় ২০ দলীয় জোটের অন্য শরিক ঐক্যফ্রন্টের মতো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে হচ্ছে তাদেরও। সংসদ নির্বাচনে রাজধানী ঢাকায় জামায়াত প্রার্থীরা সব সময় জামানত হারিয়েছেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে রাজধানীর সব আসনে প্রার্থী দিয়ে জামানত হারিয়েছিলো জামায়াত। এরপর ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জোটবদ্ধ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় প্রার্থী দেবার চেষ্টা করলেও বিএনপি রাজি হয়নি।

তবে এবার জামায়াতের শক্তিশালী লবিংয়ে ঢাকা-১৫ আসনে যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। সেনানিবাসের পাশে স্পর্শকাতর এলাকায় জামায়াতের মতো সন্ত্রাসী দলের পলাতক নেতা ধানের শীষ প্রতীকে, এনিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ।

নগরবাসি জানায়, যুদ্ধের সময় এই যুদ্ধাপরাধীরা কত মানুষকে হত্যাসহ অনেক বড় ধরনের ক্ষতি করেছে। কাজেই এদের যে মনোনয়ন দেয়া হলো, তারা পরবর্তীতে আবার মানুষের ক্ষতি করবে না এর নিশ্চয়তা কী আছে?

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে আছে, বিএনপি জামায়াতের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর সন্তান কিংবা আত্মিয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদ-ে দ-িত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী পিরোজপুর-১ আসনে নির্বাচন করছেন।

এছাড়া কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, রংপুর, খুলনা, দিনাজপুর ও ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার প্রতিটি বিভাগে কোনো না কোনো আসনে সুরা সদস্য ও হেভিওয়েটদের ধানের শীষ প্রতীকে দাঁড় করিয়েছে জামায়াত। যুদ্ধাপরাধে নিষিদ্ধ হওয়ার পরও এবারের নির্বাচনে বিএনপির চাদরে নিজেদের ঢেকে নিলো জামায়াত।

বিএ-২৩/১০-১২ (অনলাইন ডেস্ক)