“জাতীয় পার্টি নৌকায় উঠলে মহাজোটে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকত না”

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের তিনশ আসনে প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৪ দলের শরিকদের ১৫টি ও মহাজোটের জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হয়েছে ২৬টি। কিন্তু জাতীয় পার্টি লাঙ্গলে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে ১৩২টি।

এতে করে মহাজোটের মধ্যে দেখা দিয়েছে আস্থার সংকট। ফলে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বিপরীতে একাধিক স্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তাই জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের বদলে নৌকায় উঠলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকত না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মীরা।

শরিক দল ১৫ টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পরেও বেশির ভাগ আসনে বিদ্রোহী ছিল। তবে দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা বিশেষ টিম গঠন করে বিদ্রোহীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলে অনেক-ই প্রত্যাহার করেছে।

রোববার জাতীয় পার্টি মহাজোটের বাইরে নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচনের করার জন্য ১৩২ আসনে ঘোষণা দেয়। এতে করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি একই আসনে একাধিক প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবে। তাতে ভোট কমার আশঙ্কা আছে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থীর।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুই থেকে তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমাদের দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খোলা চিঠির আহ্বানে সবাই সাড়া দিয়েছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনও বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। একই আসনে মহাজোটের একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আ ফ ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলে ভাল হতো। এতে করে কোনো বিদ্রোহীর আশঙ্কা থাকতো না। সবাই মিলে নৌকার পক্ষে কাজ করতো।

বিএ-২৪/১০-১২ (অনলাইন ডেস্ক)