সেনাবাহিনী মাঠে নামছে ২৫ ডিসেম্বর

সেনা মোতায়েন করা হবে ২৫ ডিসেম্বর থেকে, নির্বাচন কমিশনের আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার ঢাকা আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে সকাল সাড়ে দশ’টায় এ বৈঠক শুরু হয়।

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এর আগে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেছিলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পরেই স্বল্প পরিসরে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হবে। প্রতিটি জেলায় সেনা সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন এবং জেলা পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করবেন। সেনাবাহিনী মূলত পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবে।

সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ তাদের জোট ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে, এর বিরোধিতা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন করার কোনো সুযোগ নেই। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারে।

তখন ইসি বলেছিল, সেনাবাহিনী মোতায়েন করার চিন্তা তাদের রয়েছে। তফসিলের পর কমিশন বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ নিয়ে নানা মহলের নানা মত রয়েছে। সেনাবাহিনীকে শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে তাদের উপস্থিতি থাকবে না। সেখানে বেআইনি সমাবেশ, গোলযোগ বা অরাজকতা হলে প্রয়োজনবোধে কেবল প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ডাকতে পারবেন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৯-১৩১ ধারা অনুসারে সামরিক বাহিনীকে এভাবে ডাকলে এ জন্য অন্য কোনো আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এভাবে ডাকা সামরিক বাহিনী ১৩১ ধারা অনুসারে উপযুক্ত ক্ষেত্রে কাউকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করতে পারে।

এসএইচ-০৫/১৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক)