বিশেষ নজরদারিতে ৩২ জেলা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ৩২ জেলায় বিশেষ নজরদারি রাখছে আইন শৃংখলা বাহিনী। নির্বাচনী প্রচারণার আড়ালে জামায়াত-শিবিরসহ কোন জঙ্গি সংগঠন যাতে কোন ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেজন্য এই নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে জাননো হয়েছে, এরইমধ্যে এসব জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌলবাদী সস্ত্রাসী গোষ্ঠি হামলা চালাতে পারে এমন তথ্য পাওয়ার পর এ অভিযান হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, রংপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।

পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বেশ কিছু জেলাকে আমরা বিশেষ নজরদারির আওতায় রেখেছি। তবে বিশেষ অভিযানের চাইতেও আমরা নিয়মিত অভিযান আগের চেয়ে জোরদার করেছি।

এলাকাভেদে আমরা নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছি। যাতে করে নির্বাচনের আগে ও পরে যাতে করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের মত কোন ধরনের সহিংসতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সারাদেশে যেসব এলাকায় বিএনপি জামায়াত বা মৌলবাদী গোষ্ঠি নাশকতা চালিয়েছে সেসব এলাকাকে সর্বোচ্চ নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। বিশেষ এই নজরদারির থাকবে আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত।

কর্মকর্তারা জানান, এরইমধ্যে ৩২ জেলায় আইন শৃংখলা বাহিনী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নির্বাচনকেন্দ্রীক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসনসহ সকল বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এরইমধ্যে অস্ত্র-গোলাবারুদ পর্যাপ্ত মজুদ রাখা, বিদ্যমান জনবলের সর্বোচ্চ ব্যবহার, নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, ঢাকায় আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের অন্য ইউনিট থেকে সদস্য মোতায়েন, বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো পুলিশ সদস্যকে ছুটি না দিতে অধীনস্থদের পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি দায়িত্বপালনের সময় পুলিশসহ সকল বাহিনীর সদস্যদের দলবদ্ধভাবে চলতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সারাদেশের অবৈধ অস্ত্র অভিযান জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে যেসমস্ত এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে বিএনপি, জামায়াত এবং অঙ্গসংগঠনের এমন নেতাকর্মীরা, সেসব এলাকায় এ অভিযান গুরুত্বের সাথে চলছে।

এজন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে একাধিক তালিকা তৈরি করেছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে বিশেষ অভিযান চালানো হতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্র।

জামায়াত-শিবিরের প্রভাব থাকা রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রামের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদকে জানান, এসব এলাকায় আগাম তথ্য পেতে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন। এরইমধ্যে সন্দেহভাজন সবাই নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।

এসএইচ-১৯/১৫/১২ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : সারাবাংলা)