এরশাদপন্থি ও রওশনপন্থির মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে

সরকারে থাকা আর না থাকা নিয়ে জাতীয় পার্টির এরশাদপন্থি ও রওশনপন্থির মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এরশাদ চান জাতীয় পার্টি সঠিকভাবে বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে, রওশনপন্থিরা চায় সরকারে থাকতে।

এরইমধ্যে বিরোধীদলের চীপ হুইপ পদে নিয়োগ পেয়েছেন দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। তবে, রাঙ্গা এ পদের জন্য রাজি নন। তিনি চান সরকারে থেকে পূর্নাঙ্গ মন্ত্রী হতে। জাতীয় পার্টির এক এমপি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দলের এই পরিস্থিতিতে কোনদিকে যায় তা দেখা যাক। এখনও সময় আছে।’

এরশাদের ছোট ভাই ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সরকারে থাকতে চায়। মহাজোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। মহাজোটগতভাবেই সরকার গঠন করবো। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সরকারেই থাকবো। গতবার ও এবারের নির্বাচন এক নয়। তাছাড়া সংবিধানে বলা নেই বিরোধীদলে কতজনকে থাকতে হবে। যেহেতু বিএনপি ও গণফোরাম থেকে ৭জন এমপি আছে তারা বিরোধীদলের ভূমিকায় থাকতে পারে।’

দলটির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সরকার গঠনের আগে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়া উচিত। গতবারে সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির মন্ত্রিরা দলের নেতাকর্মীদের জন্য তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি।

নেতাকর্মীদের একটি অংশ চায় জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। এতে দলটির ভাবমূর্তি বাড়বে। তবে, রওশনপন্থি এক নেতা জানান, ‘গতবারও এরশাদ সাহেব নিজের স্বার্থের জন্য মন্ত্রিদের মন্ত্রিসভায় থেকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এতে দলের ভেতর দুটি ভাগের সৃষ্টি হয়। এবারও নিজ স্বার্থের জন্য এমনটি শুরু করেছেন।

ঐ নেতা জানান, এরশাদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তিনি হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। এইজন্য তিনি বৃহস্পতিবার শপথ নিতে যান নি। বেগম রওশন এরশাদের অবস্থা খারাপ হলেও তিনি চলাফেরা করতে পারেন। এরশাদের শারীরিক অবস্থার পরও এমনটি করায় আমরা খুব দু:শ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি।’

এসএইচ-০৬/০৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : সারাবাংলা)