দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, গত ৪ দশকেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৯৭৬ সালের পর ভারতীয় মহাসাগরীয় অঞ্চল এতো শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি। খবর ভারতের দ্য হিন্দুর।
গত ৩০ এপ্রিল ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপত্তমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার ও পুরি থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গত ৪৩ বছরে অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে তার কোনোটি কখনই এতো শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র বিষয়ে এরই মধ্যে সতর্কতা জারি করে রেখেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর। ওড়িশায় এরইমধ্যে হলুদ সতর্কতা (ইয়েলো এলার্ট) জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূল দিয়েও বয়ে যাবে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এ ঘূর্ণিঝড়কে সামাল দিতে এরইমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভারতের কেন্দ্র সরকার থেকে ১,০৮৬ কোটি রুপি আগাম বরাদ্দ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘণ্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার থেকে ২০৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।
ওড়িশার গঞ্জাম, গজপতি, খুরদা, পুরী এবং জগৎসিংপুর, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, এবং অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম এবং বিজয়নগ্রামে ‘ফণী’ জোরাল প্রভাব ফেলবে।
প্রবল ঝড়ের সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতও চলবে এই ‘ফণী’-র কারণে। ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং নৌ জাহাজ এবং হেলিকপ্টার সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুত। পাশাপাশি, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স ৪১টিমকেও প্রস্তুত রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে আরও ১৩টিম এবং অন্ধ্র প্রদেশের রয়েছে ১০টিম।
https://youtu.be/2YMIYg2F2No
এসএইচ-১০/০২/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)