বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশায় আঘাত হেনে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে সেখানকার উপকূল এলাকা পুরী, গোপালপুরসহ বিভিন্ন জনপদ।
এরপর কলকাতায় আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। সেখান থেকে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ‘ফণী’। তবে এরই মধ্যে এর গতি অনেকটা কমে গেছে। ওড়িশায় আঘাত হানার সময় এর গতি ছিল ঘণ্টায় ২০০ থেকে ২১০ কিলোমিটার। বর্তমানে এর গতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার।
শুক্রবার বিকেল থেকেই ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব পড়তে থাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। এরই মধ্যে পটুয়াখালী, বরগুনায় বাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম।
আর সারাদেশে বজ্রপাত ও ঝড়ের তাণ্ডবে ঘর চাপা পড়ে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন।
এর মধ্যে নোয়াখালীতে ঘর চাপা পড়ে ১ জন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্তত ৩০।
বরগুনার পাথরঘাটায় খলিফার হাটে ঘর চাপা পরে ২ জন নিহত হয়েছেন।
বাগেরহাটের থানপুরে গাছের ডাল পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়ো হাওয়ার দরুণ বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জে ৬, নেত্রকোণায় ২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এসএইচ-০৩/০৪/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)