ফণী বাংলাদেশ ছেড়েছে

ভারতে গত পাঁচবছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ওড়িশায় অন্তত ১২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন৷ তবে, বাংলাদেশ অবধি পৌঁছাতে পৌঁছাতে ঘূর্ণিঝড়টি অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়৷

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশে আগেভাগেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়৷ ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার বাংলাদেশ অতিক্রম করার আগেই বেশ কয়েকলাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়৷ তা সত্ত্বেও ঘূর্ণিঝড়ে গাছ ভেঙ্গে ও ঘর চাপা পড়ে দেশটিতে অন্তত পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷

সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন ভারতের আসামে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সেখানে বৃষ্টিপাত ও তীব্র বাতাস বইছে। এর আগে শনিবার সকাল ৬টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে গিয়ে বর্তমানে ভারতের আসামে অবস্থান করছে।

তবে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ফণী গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে দুপুর ১২টায় পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল।

এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহীতে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে জারি করা বিপদ সংকেত নামিয়ে সতর্কতা সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে, কেননা ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গেছে৷”

তবে, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ায় অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫০০ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে৷ রবিবার অবধি সারা দেশে বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়া বইতে পারে বলেও জানা গেছে৷

ইতোমধ্যে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বলেও স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে৷ পাশাপাশি বিভিন্ন বন্দরের সতর্ক সঙ্কেতও কমিয়ে আনা হয়েছে৷

এসএইচ-১১/০৪/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)