সাড়ে ৩ মাসে ৮ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা

দেশের কয়েক জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত ৩ মাসে ছয় জেলায় ৮ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা কার হয়েছে।

সবশেষ ১৯ মে রাত ১১টার রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় চংক্লা চিং মারমা (৪৫) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের নাইক্ষংছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত চংক্লা চিং ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৮ মে বান্দরবানে সদর উপজেলায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রাজবিলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাবার বাগান পুনর্বাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে। নিহত ক্যচিংথোয়াই মারমা (২৮) তাউ থোয়াই মারমার ছেলে। তার বড় ভাই চাইঅংগ্য মারমা রাজবিলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলে সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাইহ্লাঅং মারমা জানান।

১ মে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম পিকুল বিশ্বাস (৪২)। তিনি সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক (প্রস্তাবিত) সম্পাদক ছিলেন। পিকুলের বাড়ি সরিষা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম জলিল বিশ্বাস। পিকুলের ভাই সরিষা ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি।

১৮ এপ্রিল ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত জামিরুল ইসলাম (৪৬) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মুধহাটি ইউনিয়নের কামতা-মীর্জাপুর গ্রামের মৃত মজনু বিশ্বাসের ছেলে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী। উপজেলার কুবিরখালী গ্রামের খালপাড়ার রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।

২৯ মার্চ রাজবাড়ীর পাংশায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওয়াহাব শেখ (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। উপজেলার কলিমহর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের লাহিড়ী রঘুনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওয়াহাব লাহিড়ী রঘুনাথপুর গ্রামের আফছার আলী খানের বড় ছেলে।

১৯ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার আলিক্ষ্যং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর জানান, সকালে ফারুয়া থেকে ফেরার পথে তাকে হত্যা করা হয়।

০৬ ফেব্রুয়ারি পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে দুর্বৃত্তরা তার বাড়ির সামনে তাকে উপর্যুপরি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

০৪ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে আ’লীগে নতুন যোগ দেওয়া দুজনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ায় প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। উপজেলার রাইখালীর কাগিগড়পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মংসানু মারমা (৪৫) ও জাহেদ (২৮)। মংসানু মারমা সংস্কারবাদী জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপের সদস্য ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে মংসানু আওয়ামী লীগে এবং জাহেদ ছাত্রলীগে যোগ দেন।

এসএইচ-০৬/২০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)