ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানেরা দাবি কৃষকদের

সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা বাড়ানেরা দাবি তুলেছেন কৃষকেরা। তারা জানান যে পরিমাণ ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ধান রয়েছে কৃষকের কাছে। তাই কৃষক বাঁচাতে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো বিকল্প নেই।

১৫ মে থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে নওগায়। এবার এজেলা থেকে সংগ্রহ করা হবে ৫ হাজার ৬৩২ মেট্রিকটন ধান। যা জেলার মোট উৎপাদনের অর্ধেকেরও কম। শুধু তাই নয়, এজন কাডধারি কৃষক সর্বোচ্চ বিক্রি করতে পারবেন ৩ মেট্রিকটন ধান। আর বাকিটা বিক্রি করতে হবে মিলারদের কাছে। যে কারণে খুব একটা লাভ হবে না বলে মনে করেছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।

কৃষকরা বলেছে, এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে গেলে ১৩-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। যার কারণে বর্তমানে যে মূল্য তার জন্য অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের।

এই কর্মসূচির আওতায় সারা দেশ থেকে মাত্র ১ লাখ মেট্রিকটন ধান কিনবে সরকার। অথচ একই সময়ে মিলারদের কাছ থেকে কেনার কথা রয়েছে ১২ লাখ মেট্রিকটন চাল।

মিলার মালিকরা বলেছেন, দেশের কৃষকরা চাল উৎপাদন করেন না তারা ধান উৎপাদন করেন। মিলাররা কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে চাল উৎপাদন করে সরকারের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করেন।

এ অবস্তায় মিলারদের কাছ থেকে চাল না কিনে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি পরিমানে ধান কেনার দাবি তোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বড় বড় অটো রাইস মিলের মালিকরা এই ধানকে কেন্দ্র করে লুটপাটের প্রক্রিয়া চালু করেছেন।

এদিকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হয়েছে বরিশালেও। সেখানেও কার্ডধারি কৃষকরাই থাকছেন এই কর্মসূচির আওতায়। যদিও এর কিছুটা সুফল পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

এসএইচ-০৯/২১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : একাত্তর টেলিভিশন)