হেলথ কাভারেজ ইনডেক্সে তলানিতে বাংলাদেশ

সংসদীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা.হাবিবে মিল্লাত বলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ ইন্ডেক্স অনুযায়ী সবার শেষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। সারা পৃথিবীতে গড়ে ৬৪ ভাগ মানুষ এর আওতায় এলেও বাংলাদেশে মাত্র ৫০ ভাগ মানুষ এর আওতায় এসেছে।

মঙ্গলবার বিএমআরসি ভবনে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাষ্ট আয়োজিত টেকশই উন্নয়ন(এসডিজি) বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ বিষয়ক সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সমস্যার জায়গাগুলো লুকিয়ে রেখে কোন লাভ নেই, সমস্যা তুলে আনলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে। আমি সরকার দলীয় মানুষ হলেও তো বাংলাদেশের মানুষ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যদি প্রতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে ১% বৃদ্ধি করা হয় তবে ইউনিভার্সল স্বাস্থ্য সেবা বাস্তবায়নে সুবিধা হতো। তিনি জানান, এ্যাম্বুলেন্স, এক্সরে মেশিন ঠিক থাকলেই যে সব ঠিক হয়ে গেল এমন নয়। সিস্টেমের কোথাও একটা ঘাটতি হলেই টোটাল সিস্টেমের উপর প্রেসার পড়বে। স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু প্রস্তাব আগামী সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, দেশব্যাপী ওয়ার্ড পর্যায়ে ১৩,৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। সারাদেশে নদী ভাঙ্গনে ১৫০ কমিউনিটি ক্লিনিক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষিতে উক্তস্থানে বিকল্প ব্যবস্থায় ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও ১৯৯৮ সালে যে ভবন করা হয়েছে সেই ভবনের অবস্থা বিবেচনায় ভবন পূণঃনির্মান করা হবে।

যারা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছেন তাদের প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ১৩,৮২২জন সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের মধ্যে ৫৪ ভাগ নারী। এছাড়াও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে সকল ক্লিনিককে এক প্লাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী জানান, খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষে জনবল নিয়োগ দেওয়ায় হবে।কমিউনিটি ক্লিনিকের যারা কাজ করছেন তাদের পদন্নোতির ব্যাপারও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এসএইচ-০৮/১৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)