রাজনৈতিক দলের নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন

ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু এই আনন্দ নানাজনের কাছে নানারকম। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের ঈদ সব সময় এক রকম হয় না। ক্ষমতায় থাকলে তাদের একরকম ঈদ, ক্ষমতার বাইরে থাকলে হয় আরেক রকম। টানা ১৩ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতাদের ঈদ গত কয়েক বছর ধরে নিরানন্দেই কাটছে।

মামলা, জেল-জরিমানা, গ্রেফতার-হুলিয়ায় জর্জরিত দলটির নেতারা খুব একটা স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেননি বিগত বছরগুলোতে। এবারের প্রেক্ষাপট আরও নাজুক। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় মেনে নিতে হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনও কারামুক্ত হতে পারেননি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিগত বছরগুলোর মতই লন্ডনে। এমন পরিস্থিতিতে থাকছে না দলের পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় আয়োজনও।

কিন্তু তারপরও থেমে থাকবে না বিএনপি নেতাদের ঈদ। ব্যথিত মন নিয়ে নিরানন্দ ঈদ করবেন তারা। দলের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। কেউবা ঈদ করবেন ঢাকায়। কেউ আবার ঈদ ঢাকায় করে গ্রামে যাবেন। দেবেন সাধ্যমতো কোরবানি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঈদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে হবে। কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য সেখানেই রাখা হয়েছে। তাকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের কথা শোনা গেলেও ঈদের আগে সেটি আর হচ্ছে না।

দলীয় সূত্রমতে, ঈদের দিন যেকোনো সময় কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দুই মেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন ‍পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি। সঙ্গে নিয়ে যাবেন খালেদা জিয়ার পছন্দের খাবার।

চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার জানান, সাক্ষাৎতের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে পরিবারের কোন কোন সদস্য সাক্ষাৎ করতে যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।

সাধারণত, খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম, ভাই সাঈদ এস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন সাঈদ, পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে ও তারেক রহমানের স্ত্রীর বোন শাহিনা খান পরিবারের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎ করে থাকেন।

বিগত বছরগুলোর মতো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঈদ করবেন লন্ডনে। স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে ঈদ করবেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঈদ করবেন ঠাকুরগাঁও। শনিবার (১০ আগস্ট) আকাশ পথে তিনি ঠাকুরগাঁও পৌঁছেছেন। সেখানে পরিবার পরিজন এবং দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করবেন। দেবেন পশু কোরবানি। ঈদের কয়েকদিন পর তিনি ঢাকায় ফিরবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঈদ করবেন ঢাকায়। ঈদের নামাজ শেষে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যাবেন তিনি। এর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে বিএসএমএমইউ-এ যাওয়ার কথা রয়েছে তার। স্থায়ী কমিটির আরেক প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঈদ করবেন নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ঈদ করবেন ঢাকায়, ড. মঈন খান ঈদ করবেন নিজ এলাকা নরসিংদীর পলাশে, মির্জা আব্বাস ঈদ করবেন ঢাকায়। স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঈদ করবেন চট্টগ্রামে। বরাবরই তিনি চট্টগ্রামে ঈদ করে থাকেন। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যথারীতি ঈদ করবেন ভারতে। অনুপ্রবেশের দায়ে ২০১৫ সাল থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে আছেন তিনি। গত ৩ বছরে ৬টি ঈদ সেখানেই করতে হয়েছে তাকে। এবারও সেখানেই ঈদ করতে হবে তাকে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীণ রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ঈদ করবেন ঢাকায়। গুলশান জামে মসজিদের ঈদের নামাজ শেষে স্ত্রীর কবর জিয়ারত করবেন তিনি। এরপর বাসায় নিজের নির্বাচনী এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।

ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মো. আব্দুল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঈদ করবেন ঢাকায়।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান (চট্টগ্রাম) আলতাফ হোসেন চৌধুরী (পটুয়াখালী), বরকত উল্লাহ বুলু (নোয়াখালী), মো. শাজাহান (নোয়াখালী), চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ (ফরিদপুর), মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ( ভোলা), অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান (টাঙ্গাইল), ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন (ময়মনসিংহ), শামসুজ্জামান দুদু ( চুয়াডাঙ্গা), উপদেষ্টা পরিষদের আবুল খায়ের ভূইয়া লক্ষ্মীপুর, হেলালুজ্জামান তালকুদার লালু (বগুড়া), গোলাম আকবর খন্দকার (চট্টগ্রাম) যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার (বরিশাল), ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ( নোয়াখালী), খায়রুল কবীর খোকন (নরসিংদী), মিজানুর রহমান মিনু (রাজশাহী) নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।

তবে বিএনপি নেতারা যে যেখানেই ঈদ করুন না কেন, দলের পক্ষ থেকে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে থাকার জন্য।

এদিকে নিজ পরিবার ও জনগণের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে এরই মধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। ঈদুল ফিতরে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে ঈদ করেন। ফলে ওই সময় কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই ঢাকায় ঈদ করেছেন। তবে ঈদুল আজহায় দলীয় সভাপতি ঢাকায় অবস্থান করায় অনেকটাই নির্ভার অধিকাংশ নেতারা। এ জন্য অনেকেই এবার নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন বলে জানা গেছে।

গত ঈদুল ফিতরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটি। কিন্তু আসন্ন কোরবানির ঈদে আওয়ামী লীগ সভাপতি গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফেরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী চোখের চিকিৎসার জন্য গত ১৯ জুলাই লন্ডনে যান।

ঈদের দিন সকাল ১০টায় সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হবে। এরপর ১১টায় বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব ও সমমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ঈদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকায় ঈদ উদযাপন করে নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান। আসন্ন ঈদে তিনি ঈদ করবেন নিজ এলাকায়। রোববার তিনি নির্বাচনী এলাকায় যাবেন বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর প্রথম ঈদুল আজহা পালন করবেন নেতারা। তাই নেতাদের অনেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকা ও পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। তবে নেতারা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করতে দ্রুত ঢাকায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত সহকারীরা।

আসন্ন ঈদে বন্যা এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপের দুঃশ্চিন্তা নিয়ে দেশবাসী ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদের দিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠিতে ঈদ করবেন। এজন্য তিনি শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা ছেড়েছেন। উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদও নিজ নির্বাচনী এলাকা ভোলায় ঈদ করবেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী শারীরিক সমস্যাজনিত কারণে ঢাকায় ঈদ করবেন। সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিমও ঈদ করবেন ঢাকায়। দলের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জে নিজ নির্বাচনী এলাকার কাজিরপুরে, কাজী জাফরউল্লাহ ঢাকায়, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলে, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী নিজ এলাকা শেরপুরে ঈদ করবেন। বাকিদের মধ্যে সাহারা খাতুন ঢাকা, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য যশোরে, লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান ঢাকা, আবদুল মতিন খসরু কুমিল্লা, রমেশ চন্দ্র সেন ঠাঁকুরগাও ঈদ করবেন। সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও ঢাকায় ঈদ করবেন।

আওয়ামী লীগের চার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ কুষ্টিয়া ও আব্দুর রহমান ফরিদপুরে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। তবে অপর দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নিজ নির্বাচনী এলাকা দিনাজপুরে ঈদ করবেন। তিনি ১১ আগস্ট এলাকার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘নেতাকর্মী ও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে এবার বাড়িতে ঈদ করে। জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের ১৪ তারিখ ঢাকায় ফিরে আসব।’

বাকিদের মধ্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকায়, আহমদ হোসেন নেত্রকোনা, বিএম মোজাম্মেল হক ঢাকা, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম শরীয়তপুর, শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল চট্টগ্রামে ঈদ করবেন। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ঢাকায় থাকবেন। আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নেত্রকোনার কেন্দুয়া আটপাড়ায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করব। ’

এছাড়া বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঢাকায় থাকবেন। কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নার লাইলী ঢাকায় ঈদ করবেন। তিনি ঈদের দিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ঢাকায় থাকবেন। উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রামে থাকবেন। প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন। আইন বিষয়ক সম্পাদক ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম হজ্ব পালন করতে সৌদি আরবে রয়েছেন।

অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিজ নির্বাচনী এলাকায় রংপুরে ঈদ করবেন। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন পটুয়াখালী, ডা. রোকেয়া সুলতানা ঢাকায় ঈদ করবেন। এছাড়াও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ঢাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর কুমিল্লায় উদযাপন করবেন। এর বাইরে দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ঢাকায় ঈদ করবেন। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ ঢাকায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ঢাকায় অবস্থান করবেন।

কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বরিশালে, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও কামরুল ইসলাম ঢাকায় ঈদ করবেন। অন্যদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন নিজ এলাকায় নরসিংদী, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী, সিমিন হোসেন রিমি গাজীপুর, এসএম কামাল হোসেন ঢাকায়, মির্জা আজম জামালপুর, আমিরুল আলম মিলন ঢাকায় ঈদ পালন করবেন। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার ঢাকায়, ইকবাল হোসেন অপু নিজ নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুর, আনোয়ার হোসেন ঢাকা, মারুফা আক্তার পপি জামালপুর ও রেমন্ড আরেং ময়মনসিংহে ঈদ করবেন।

এসএইচ-১৪/১১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)