পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি আত্মহত্যা করে

বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডাব্লিউএইচও৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ একটি৷ বাকিগুলো হচ্ছে মিয়ানমার, চীন, মরক্কো ও লেসোথা৷

মঙ্গলবার বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডাব্লিউএইচও৷ ২০১৬ সালের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘের এই সংস্থা৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের পাঁচ হাজার ৬৬৬ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন৷ এই সময়ে পুরুষদের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৮৭৮ জন৷ অর্থাৎ প্রতি এক লাখে আত্মহত্যা করেছেন ৫.৯ জন, যা বৈশ্বিক হারের (১০.৫) প্রায় অর্ধেক৷

বিশ্বে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ গায়ানায়৷ সেখানে প্রতি এক লাখে আত্মহত্যা করেছেন ৩০ জন৷ এরপরেই আছে রাশিয়া৷ তাদের হার সাড়ে ২৬৷

ডাব্লিউএইচও বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করেন৷ সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘‘(আত্মহত্যা প্রতিরোধে) অগ্রগতি সত্ত্বেও এখনও প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন আত্মহত্যা করছে৷’’ তিনি বলেন, আত্মহত্যা ঠেকানো সম্ভব৷ এজন্য দেশগুলোর স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মসূচিতে আত্মহত্যা ঠেকানোর কৌশল অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান গেব্রিয়েসুস৷

ইতিমধ্যে ৩৮টি দেশ আত্মহত্যা প্রতিরোধ কৌশল গ্রহণ করেছে জানিয়ে ডাব্লিউএইচও অন্য দেশগুলোকেও এই পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২০১০ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার দশ শতাংশ কমেছে৷ এই সময়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় আত্মহত্যার হার ৪.২ শতাংশ কমেছে৷

কীটনাশক বিক্রি নিয়ন্ত্রণে এনে বিভিন্ন দেশ আত্মহত্যার সংখ্যা কমাতে পারে বলে মনে করে ডাব্লিউএইচও৷ সংস্থাটি বলছে, শ্রীলঙ্কায় কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের কারণে ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আত্মহত্যার হার ৭০ শতাংশ কমেছে৷ অর্থাৎ প্রায় ৯৩ হাজার প্রাণ বেঁচেছে বলে জানায় তারা৷

এসএইচ-০৪/১১/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)