বদলে যাচ্ছে রাজশাহী : সোনাদিঘী ফিরে পাচ্ছে প্রাণ

রাজশাহী মহানগরীর অতি ব্যস্ততম এলাকা ‘সোনাদিঘীর মোড়’। পাখি ডাকা ভোর থেকে রাত অববধি যেখানে থাকে সর্ব  শ্রেনী পেশার মানুষের পদচারনা। একটা সময় এই সোনাদিঘী পাড় ছিল মানুষের বসে আড্ডা দেবার মত একটি স্থান। কিন্ত ১৯৯০ সালের পর থেকেই এর চিত্রপট পাল্টাতে থাকে। চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠতে শুরু করে স্থাপনা। এক পর্যায়ে ঢাকা পড়ে যায় ঐতিহ্যবাহী সোনাদিঘীর কোলাহল। সোনাদিঘীটি শুধু নামেই থাকে। ২০০৮ সালে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হওয়ার পর সোনাদিঘীকে দৃশ্যমান করার উদ্যোগ নেন।যার অংশ হিসেবে গড়ে উঠছে সিটি সেন্টার। আর দিঘীর চারপাশ আরো মহোনিয় করার জন্য তৈরী হয়েছে পরিকল্পনা। সেই সূত্র ধরেই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে মার্কেট।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, সোনাদিঘীকে এখন অন্তত তিন দিক থেকে দেখা যাবে। দিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে পায়ে হাঁটার পথসহ মসজিদ, এমফি থিয়েটার (উন্মুক্ত মঞ্চ) ও তথ্যপ্রযুক্তি পাঠাগার। চলতি বছরই এই কাজ শুরু হওয়ার কথা।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, বুলডোজার দিয়ে দিঘীর পাড়ের দোকানপাট ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। চলতি বছরেই সোনাদিঘী সংস্কারের কাজ শুরু হবে। সংস্কার শেষ হলে আগের মতোই রূপ নিবে বিনোদন কেন্দ্রে।

প্রবীন সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, একটা সময় ছিল বিকেলটা কেটেছে সোনাদিঘীর পাড়ের বেঞ্চে বসে। এটিই ছিল নগরের একটি বিনোদনকেন্দ্র। দিঘীর পানি ছিল টলটলে। আশেপাশের মানুষেরা এই পুকুরের পানিতে দৈনন্দিন কাজও সেরেছেন।এর পাশ দিয়ে ছিল পামগাছ ও বসার জন্য বেঞ্চ।

২০০৯ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পুরোনো নগর ভবনের জায়গায় ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণের চুক্তি করে। সেই চুক্তির আওতায় দিঘীকে নতুন করে সাজানোর কথা ছিল। তিন বছরে এই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে ১০ বছর পর দিঘীর চারপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে।

এসএইচ-০৪/১৪/২০ (নিজস্ব প্রতিবেদক)