ওয়ারেন্ট চক্রের ফাঁদে সাধারণ মানুষ?

ওয়ারেন্ট মানে আসামিকে গ্রেফতারে বৈধ আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু এই ওয়ারেন্ট জাল করে পরিকল্পিতভাবে মানুষকে হয়রানি করছে একটি চক্র। এ চক্রে আছেন অসাধু আইনজীবী ও আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী। সম্প্রতি ভুয়া ওয়ারেন্টে ৬৮দিন জেল খেটে বের হয়েছেন এক ভুক্তভোগী। বিষয়টি তদন্তে উচ্চ আদালত সিআইডিকে দায়িত্ব দিলে মঙ্গলবার তারা আদালতকে জানিয়েছেন, জালিয়াত চক্রটিকে ধরতে তদন্ত টিম কাজ করছে।

বিচারকের সিল, স্বাক্ষর সম্বলিত ওয়ারেন্ট দেখে বোঝার উপায় নেই এটি ভুয়া। একটু সচেতন না হলে যে কেউ ভুয়া ওয়ারেন্টের ফাঁদে পড়তে পারেন। ঠিক যেমনটি ঘটেছে আওলাদ হোসেনের ক্ষেত্রে।

সম্প্রতি ভুয়া ওয়ারেন্ট দেশের চার কারাগারে ৬৮ দিন জেল খেটে বের হয়েছেন তিনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে বের হয়ে জানান হয়রানির কথা।

ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন বলেন, ভুয়া ওয়ারেন্টে আমি প্রথম ছিলাম কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে কেরানীগঞ্জ তারপর একে একে রাজশাহী, বাগেরহাট, শেরপুর এরপর আবার ঢাকায় পাঠালো। ঢাকায় জেল কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখছে যে এটা ভুয়া।

অসাধু আইনজীবী ও আদালতের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি চক্র এ কাজটি করেছে বলে জানান আওলাদ হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

তিনি বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে ভুয়া ওয়ারেন্টে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করছে। ইতিমধ্যে এসব বিষয়ে মানববন্ধনও হয়েছে।

এদিকে ভুয়া ওয়ারেন্টের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সংস্থাটি আদালতকে জানায়, তাদের ধরতে ৪ সদস্যের একটি দল কাজ করছে। এ বিষয়ে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

এসএইচ-০৪/২৩/২০ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : সময় টিভি)